Header Ads

Header ADS

মানবসেবা মনুষ্যত্বের ভূষণ



মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাসুম


"এসো মোরা কাজ করি মানবতার কল্যাণে,
গড়ি এক সমৃদ্ধ সমাজ"

সুখে-দুঃখে, বিপদে-আপদে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর মধ্যেই জীবনের যথার্থ সার্থকতা নিহিত। অপরের কল্যাণ কামনাকে প্রাধান্য দিয়ে নিজের স্বার্থকে ত্যাগ করার নামই মানবসেবা। এটা এমন এক ইবাদত যাকে রসুল (সা.) ইমানের অংশ সাব্যস্ত করেছেন। ইরশাদ হচ্ছে,
সত্তরের অধিক ইমানের শাখা-প্রশাখা রয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো মানুষের কষ্ট হয় এমন বস্তুকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া। (মিশকাত: হাদীস-০৪)
অর্থাৎ মানুষের চলাচলের সুব্যবস্থা করা। পথহারা পথিকদের সঠিক পথের সন্ধান দেওয়া। অন্ধ, অসুস্থ, বিকলাঙ্গ ও লুলা ব্যক্তিদের কাজে সহযোগিতা করা। অভাবী, অনাথ, আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে আসা। বস্ত্রহীনদের বস্ত্রের ব্যবস্থা করা। অসুস্থদের সেবা-শুশ্রূষার ব্যবস্থা করা। ইরশাদ হচ্ছে,

বস্তুত আমি তাকে (মানুষকে) দুটি পথ প্রদর্শন করেছি। অতঃপর সে ধর্মের ঘাঁটিতে প্রবেশ করেনি। আপনি জানেন কি সে ধর্মের ঘাঁটি কি? তা হচ্ছে দাসমুক্তি অথবা দুর্ভিক্ষের দিনে অন্নদান, এতিম, আত্মীয়কে ধূলি-ধূসরিত মিসকিনকে। (সূরা বালাদ : ১০-১৬)
বস্তুত মানবসেবার বিষয়টি অত্যন্ত ব্যাপক। মানুষের দুনিয়াবী প্রয়োজন মিটানো যেমন মানবসেবার অন্তর্ভুক্ত, অনুরূপ পরকালের প্রয়োজন মিটানোও মানবসেবার অন্তর্ভুক্ত।



হিতৈষী মনোভাব ও সহমর্মিতার গুণ ছাড়া মানবিকতা ও মহানুভবতার বিকাশ পূর্ণতা পায় না। দুই বেলা শাহী খাবার বিচিত্র স্বাদ আস্বাদন ছাড়া আমার রসনা তৃপ্ত হয় না। অথচ পাশের বস্তিতে খাবার না পেয়ে অবোধ শিশুরা চিৎকার করে কাঁদে। জঠরজ্বালা সইতে না পেরে কত বনী আদম পথের ধারে উপুড় হয়ে কাতরায়। রসে টইটুম্বর আঙ্গুর ও টসটসে কমলা বিত্তশীলরা প্রায়শই নিক্ষেপ করে ডাস্টবিনে। অথচ অভাবীরা পঁচা ও উচ্ছিষ্ট ফল খাওয়ার জন্য ইতর প্রাণীর সঙ্গে যুদ্ধ করে ডাস্টবিনে। মানুষ বুদ্ধিমান জীব বলে অন্য সব জীবজন্তু একেবারে বুদ্ধিহীন নয়। বরং বুদ্ধির সঙ্গে বিবেক এবং আপন চাহিদার সঙ্গে মানবিকতার সংশ্লেষই অন্য সব জীব-জন্তুর ওপর মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব এনে দিয়েছে। ইসলাম মানুষকে সর্বোচ্চ মানবিকতা, পরহিতৈষণা, সহমর্মিতা ও মহানুভবতার শিক্ষা দিয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালা অনাহারীর কষ্টের ভাগিদার হতে এবং জনমদুখী বান্দার দুঃখে সমব্যথী হতে মাহে রমযানের রোযা ফরয করেছেন। দুঃখীর অভাব মোচনে ধর্নাঢ্যের উপর যাকাত ফরয ও সামর্থ্যবানদের উপর সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব করেছেন। দান-সদকা ও অন্যের জন্য ব্যয়ে উদ্বুদ্ধ করে বহু আয়াত অবতীর্ণ করেছেন। ইরশাদ হচ্ছে
‘এমন কে আছে, যে আল্লাহকে উত্তম কর্জ দেবে? তবে তিনি তার জন্য তা বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেবেন এবং তার জন্য রয়েছে সম্মানজনক প্রতিদান।’ [সূরা আল-হাদীদ, আয়াত : ১১]
অন্যত্র বলেন,
‘যারা আল্লাহর পথে তাদের সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উপমা একটি বীজের মত, যা উৎপন্ন করল সাতটি শীষ, প্রতিটি শীষে রয়েছে একশ’ দানা। আর আল্লাহ যাকে চান তার জন্য বাড়িয়ে দেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।’ [সূরা আল-বাকারা, আয়াত : ২৬১]
তিনি আরো ইরশাদ করেন:
আর তোমরা নিজেদের জন্য মঙ্গলজনক যা কিছু অগ্রে পাঠাবে তোমরা তা আল্লাহর কাছে পাবে প্রতিদান হিসেবে উৎকৃষ্টতর ও মহত্তর রূপে।[সূরা মুযযাম্মিল,আয়াত:২০]
যুগে যুগে ইসলামী মনীষীগণ মানব সেবার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিয়ামত অবধি আগত মানবমুক্তি, শান্তি ও সমাজকল্যাণের অনাগত সকল ঈমানদারের সামনে মানবসেবার অনন্য আদর্শ রেখে গেছেন। নবুওয়ত প্রকাশের প্রাক্কালে হিলফুল ফুযূল নামক সংস্থা গড়েছিলেন। সেখানে কিছু যুবককে নিয়ে সকলে এ মর্মে অঙ্গিকারাবদ্ধ হন, ‘আমরা নিঃস্ব ও অসহায় দুর্গতদের সেবা করব। অত্যাচারীকে প্রাণপণে বাধা দেব, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করব এবং বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে সম্প্রীতি স্থাপনে সচেষ্ট হব।’ যার অনন্য উপমা খুঁজে পাওয়া যায় উম্মুল মু'মিনীন হযরত খাদিজাতুল কুবরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার প্রজ্ঞাপূর্ণ উক্তিতে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আস্বস্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন:
 কখনো নয়, আল্লাহর শপথ, তিনি আপনাকে কখনো অপমানিত করবেন না। কারণ, আপনি আত্মীয়দের প্রতি দয়াশীল, পীড়িত মা ও আতুরদের ব্যয়ভার বহন করেন, নিঃস্বদের জন্য উপার্জন করেন, আপনি অতিথিপরায়ন এবং সত্যিকার বিপদাপদে সদা সাহায্যকারী। [বুখারী : ০৩; মুসলিম : ৪২২] 
মানবসেবাকে তিনি তার জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। কোনো অবস্থায় এ ব্রত থেকে বিচ্যুৎ হননি। 
 ইসলামী প্রজাতন্ত্র মদিনা রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার পরও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিলাসী জীবনযাপন করেননি। ৯ম হিজরীতে যখন আরব উপদ্বীপ তার অনুগত হয়,   তখন তিনি বিশাল রাজ্যের অধিপতি। রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তার কাছে চারদিক থেকে মদীনায় যেসব উপহার আসত তিনি তা গরিব- দুঃখীদের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন। নিজে কিছুই ভোগ করতেন না। তার ওফাতের সময় পরিবারে দুই দিন  পেট পুরে খাওয়া যায় এমন সঞ্চয়ও ছিল না। উম্মুল মুমিনীন  আয়েশা সিদ্দীকা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার ভাষ্য মতে, তিনি এমনভাবে ইহলোক ত্যাগ করেছেন যে তাঁর পরিবার লাগাতার দু’দিন পেট ভরে গমের রুটি খেতে পারে নি।

একবার হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) মসজিদে নববীতে ইতেকাফরত ছিলেন। এমন সময় এক লোক তাঁর কাছে এসে সালাম দিয়ে চুপ করে বসে পড়ল। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বললেন, কী ব্যাপার, তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে তুমি খুবই চিন্তিত! জবাবে লোকটি বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুলের চাচাতো ভাই! নিশ্চয়ই আমি খুব চিন্তিত ও পেরেশান। কেননা অমুক ব্যক্তির কাছে আমি ঋণী আছি।’ তারপর সে রাসুলের রওজা শরিফের দিকে ইশারা করে বলল, ‘এই কবরওয়ালার ইজ্জতের কসম! এই ঋণ আদায় করার সামর্থ্য আমার নেই।’ ইবনে আব্বাস (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা) বললেন, ‘আমি কি তাঁর কাছে তোমার জন্য সুপারিশ করব?’ লোকটি বলল, ‘আপনি যা ভালো মনে করেন।’ এ কথা শুনে হজরত ইবনে আব্বাস (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা) তত্ক্ষণাৎ জুতা পরে মসজিদের বাইরে এলেন। লোকটি বলল, হজরত, আপনি কি ইতেকাফের কথা ভুলে গেছেন? তিনি বললেন, না ভুলি নাই। তবে খুব বেশি দিনের কথা নয়, আমি এই কবরওয়ালার কাছ থেকে শুনেছি (এই কথা বলার সময় ইবনে আব্বাসের চক্ষু দিয়ে অশ্রু ঝরছিল), যে ব্যক্তি নিজে অন্য কোনো মুসলমান ভাইয়ের কোনো প্রয়োজনে চলাফেরা করবে এবং তার জন্য চেষ্টা করবে, উহা তার জন্য ১০ বছর ইতেকাফ করার চেয়েও উত্তম হবে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একদিন ইতেকাফ করে আল্লাহ তার মধ্যে ও জাহান্নামের মধ্যে তিন খন্দক দূরত্ব সৃষ্টি করে দেন। যার দূরত্ব আসমান ও জমিনের মধ্যবর্তী দূরত্ব হতেও অধিক। (এক দিনের ইতেকাফের ফজিলতই যখন এরূপ, তখন ১০ বছর ইতেকাফের ফজিলত কী পরিমাণ হবে?) (তাবরানি, বায়হাকি, হাকেম ও তারগিব)

মুমিনদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে গিয়ে
আল্লাহ তাআলা বলেন, 
‘তারা তাদের খাবারের প্রতি ভালোবাসা থাকা সত্ত্বেও সে খাবার অসহায়, এতিম এবং বন্দিদের খাওয়ায়।’ (সুরা : দাহার, আয়াত : ৮) 
আর কাফেরদের ব্যাপারে ইরশাদ হচ্ছে, 
কাফিরগণ মুমিনদের বলে—আল্লাহ যাদের ইচ্ছা করলে খাবার দিতে পারেন, আমরা কি তাদের খাবার খাওয়াব?(সুরা : ইয়াসিন, আয়াত : ৪৭) 
অর্থাৎ অসহায়ের পাশে না দাঁড়ানো, তাদের খোঁজখবর না রাখা, মানবসেবায় এগিয়ে না আসা কাফিরদের স্বভাব। পক্ষান্তরে মুমিনরা মানবসেবায় থাকে সদা তৎপর। (সূরা মাঊন, আয়াত:৩;  মুসতাদরাকে হাকেম, আদাবুল মুফরাদ)
মানব সেবায় গুরুত্বারোপ এবং উদ্বুদ্ধ করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: ‘যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের পার্থিব কষ্টসমূহ থেকে কোনো কষ্ট দূর করবে কিয়ামতের কষ্টসমূহ থেকে আল্লাহ তার একটি কষ্ট দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোনো অভাবীকে দুনিয়াতে ছাড় দেবে আল্লাহ তা‘আলা তাকে দুনিয়া ও আখিরাতে  ছাড় দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের দোষ গোপন রাখবে, আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন। আর আল্লাহ তা‘আলা বান্দার সাহায্যে থাকেন যতক্ষণ সে তার ভাইয়ের সাহায্য করে যায়।’ [মুসলিম : ৭০২৮; আবূ দাঊদ : ৪৯৪৮; তিরমিযী : ১৪২৫]
অন্যত্র  রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: 
‘আল্লাহর শপথ! ঐ ব্যক্তি ঈমানদার নয় ’। সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া? তিনি বললেন, ‘সেই ব্যক্তি  যার হঠকারিতা থেকে প্রতিবেশি নিরাপদ নয়।’ জিজ্ঞেস করা হলো, হঠকারিতা কী? তিনি বললেন, ‘তার অনিষ্ট বা জুলুম। ’ [মুসনাদ আহমদ : ৮৪১৩; মুসনাদ বাযযার : ২০২৬]
বলাবাহুল্য আল্লাহ প্রদত্ত সম্পদের অপচয় করা অথচ নিকটস্থ অসহায়ের প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করাও এক ধরনের জুলুম। একে অপরকে সাহায্য করা, একে অন্যকে যৎসামান্য হলেও কিছু দেয়াও তাই গুরুত্বপূর্ণ। প্রখ্যাত সাহাবী আবূ হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: 
‘হে মুসলিম নারীগণ, এক প্রতিবেশি যেন তার অপর প্রতিবেশির পাঠানো দানকে তুচ্ছজ্ঞান না করে, যদিও তা ছাগলের পায়ের একটি ক্ষুর হয়।’ [বুখারী : ২৫৬৬; মুসলিম : ২২৬]
তিনি আরো বর্ণনা, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘
বিধবা ও অসহায়কে সাহায্যকারী ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর সমতুল্য।’  (বর্ণনাকারী বলেন) আমার ধারণা তিনি আরও বলেন, ‘এবং সে ওই সালাত আদায়কারীর ন্যায় যার ক্লান্তি নেই এবং ওই সিয়াম পালনকারীর ন্যায় যার সিয়ামে বিরত নেই। (বুখারি, মুসলিম)
বিদায় হজে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
 ‘তোমাদের তথা প্রতিটি মুসলমানের  জান, মাল, সম্পত্তি, ইজ্জত, শরীরের চামড়া যেভাবে আজকের এ মহান ইয়ামুন্নাহারের দিনে, এ পবিত্র জিলহজ মাসে এ পবিত্র হেরেম শরিফে হারাম ও সুরক্ষিত, ঠিক তেমনিভাবে সব দিন, সব মাস ও সর্ব স্থানে হারাম ও সুরক্ষিত বলে গণ্য হবে। খবরদার! তোমরা আমার অবর্তমানে পুনরায় কাফেরদের ন্যায় পরস্পর মারামারি, কাটাকাটিতে লিপ্ত হবে না।’ (বুখারি শরিফ)।

বিশ্বব্যাপী মানুষের স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান। এদের মধ্যে OIC, RED CRESENT SOCIETY, UNO, UNICEF, UNESCO প্রভৃতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এক্ষেত্রে বাংলার ক্ষুদিরাম, নূর হোসেন, হাজী মুহম্মদ মহসীন, শেরে বাংলা ফজলুল হক, মওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, আফ্রিকার বর্ণপ্রথা বিরোধী বিশ্বখ্যাত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা, আর্জেন্টিনার চে গুয়েভার প্রমুখ জনকল্যাণে আত্মনিয়োগ করার মাধ্যমেই ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। তারা শুধুমাত্র অর্থ দিয়ে নয়, নিঃস্বার্থভাবে জীবন দিয়ে মানবকল্যাণে আত্মনিয়োগ করে গেছেন।

মানবসেবার মহান ব্রতে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসলে সমাজের রূপই পাল্টে যায়, যা উন্নত দেশ ও জাতি গঠনে ব্যাপক কার্যকরী ভূমিকা রাখে। অন্যের কল্যাণ কামনায় নিয়োজিত করতে পারার মধ্যেই মানুষের জীবন সুখময় ও আনন্দময় হয়ে ওঠে। প্রত্যেক মানুষের উচিত নিজের ভিতরে লুকিয়ে থাকা হিংসা-বিদ্বেষ, কপটতা-ভন্ডামি, এসব কুপ্রবৃত্তিকে শক্ত হাতে দমন করে সমাজসেবার মহান আদর্শে নিজেকে পরিচালিত করা। তাই পারস্য কবি আল্লামা শেখ সাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি  কতইনা চমৎকার বলেছেন-
সেজদা ও তসবিহ দেখে, খোদ এলাহি ভুলবে না
মানবসেবার কুঞ্জি ছাড়া স্বর্গদ্বার খুলবে না’

লিখক: আরবিপ্রভাষক
রাণীরহাট আল-আমিন হামেদিয়া ফাযিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা        


কোন মন্তব্য নেই

ইলমে দ্বীনের ফজিলত

﴿يَرْفَعِ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنْكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ دَرَجَاتٍ ﴾ (المجادلة: ١١)

Blogger দ্বারা পরিচালিত.