মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাসুম
গাউসুল আজম রিসার্চ সেন্টার একটি গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান। যা ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাসুম এটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক। তিনি বার আউলিয়ার স্মৃতিধন্য চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ আবদুল মাবুদ ও জান্নাতুল ফেরদাউসের ঔরসে ১৯৯২ সালে জন্ম গ্রহণ করেন । তিনি কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন চেম্বার ম্যাজিস্টেড, চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিট্রিশ অনারারী চীপ দায়রা জর্জ মাওলানা সৈয়্যদ আলী আহমদ মোতাওয়াল্লীর প্রপৌত্র। অতি শৈশব থেকেই তাঁর লেখালেখি শুরু। সাহিত্যের প্রতি দূর্বার আকর্ষণে সময়ের আবর্তে আজ তিনিও সাহিত্যে অভিনন্দিত একজন । তাঁর প্রথম লেখা ছোট্ট গল্প ছাপা হয়েছিল দেশের বহুল প্রচারিত মাসিক ম্যাগাজিন তরজুমানে । এরপর প্রকাশিত হয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত মাসিক অগ্রপথিক, সাম্পান এবং ছাত্র সমাজের মুখপত্র মাসিক ছাত্রবার্তায় । সম সাময়িক বিভিন্ন ইস্যু ও ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় পত্রিকা দৈনিক ইনকিলাব, যুগান্তর, কালের কণ্ঠ, নয়া দিগন্ত, সংগ্রাম, সময়ের আলো এবং চট্টগ্রামের দৈনিক পূর্বকোণ, আজাদী, পূর্বদেশ সহ বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে লিখেছেন এবং লিখছেন । এক বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে যে সকল তরুণ লেখালেখির মহান জগতে এসেছেন, তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম । এ অকুতোভয় দায়িত্বশীল ব্যক্তিত্বের শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি ছিল শাহ হাবিব উল্লাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় । অতঃপর কুলগাঁও সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়ন শেষ করেন। অতঃপর ২০০১ সালে দ্বীনি শিক্ষা অর্জনে ইমাম হাশেমী রহমাতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত আহছানুল উলুম জামেয়া গাউছিয়া মাদরাসার জমাতে নাহুমে ভর্তি হয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে ২০০২ সালে এশিয়াখ্যাত জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ায় জমাতে হাফতে ভর্তি হন । দাখিল (২০০৬), আলিম (২০০৮), ফাযিল (২০১১), কামিল ফিকহ (২০১৩),হাদিস (২০১৫) এবং পাশাপাশি আর্ন্তজাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দা'ওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ হতে বিএ অনার্স (২০১২), মাস্টার্স (২০১৩) কৃতিত্বের সাথে সর্বক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন। তিনি ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দেশের বেসরকারি বৃহত্তর বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজক প্রতিষ্ঠান হালিম-লিয়াকত স্মৃতি সংসদ বায়েজিদ বোস্তামী জোনের পরিচালকের দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেন।
২০১৫ সালের প্রারম্ভে দাওয়াতে ইসলামী বাংলাদেশের অনুবাদ মজলিশে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন । অতঃপর ২০১৮ সালে রাণীরহাট আল-আমিন হামেদিয়া ফাযিল মাদরাসায় আরবি প্রভাষক পদে যোগদানের মাধ্যমে শিক্ষকতার মহান পেশায় আত্মনিয়োগ করেন। ২০২০ সালে রাজানগর রাণীরহাট ডিগ্রি কলেজ জামে মসজিদে খতিব পদে যোগদান করে অদ্যাবধি ওয়াজ-নসিহতের মাধ্যমে সমাজের মানুষের মাঝে ইসলামের অমীয় বাণী পৌঁছানোর গুরু দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট আছেন ।
বর্তমানে পশ্চিম ষোলশহরস্থ তাজুশ শরীয়াহ দরসে নিযামী মাদরাসায় আরবি প্রভাষক পদে শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি সামাজিক বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মকান্ডের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট থেকে ইসলামী তাহযিব- তামাদ্দুন চর্চায় সমাজে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন ।
কোন মন্তব্য নেই