Header Ads

Header ADS

শিক্ষকের মর্যাদা: সবার মাঝে শ্রেষ্ঠ

শিক্ষাদানের মহান ব্রত যার কাজ তাকেই শিক্ষক বলা হয়। নিজে শিক্ষা অর্জন করার পরক্ষণেই অপরকে সেই শিক্ষায় শিক্ষিত ও চরিত্র গঠন করার দায়িত্বও শিক্ষকের। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘আল্লাহ ও রাসূলের পরে ওই ব্যক্তি সর্বাপেক্ষা মহানুভব যে জ্ঞানার্জন করে ও পরে তা প্রচার করে ’। একজন শিক্ষার্থী প্রকৃত মানুষরূপে গড়ে ওঠার পেছনে বাবা—মার চেয়ে শিক্ষকের অবদান কোনো অংশে কম নয়। মহান আল্লাহ তাআলাও শিক্ষকদের আলাদা মর্যাদা ও সম্মান দান করেছেন। ফলে মুসলিম সমাজে শিক্ষকমাত্রই বিশেষ মর্যাদা ও সম্মানের অধিকারী। কেননা, একজন প্রাজ্ঞ, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন আদর্শবান শিক্ষকই ইনসাফ ভিত্তিক আদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠার পথ তৈরি করতে পারেন। তাই প্রত্যেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের উচিত শিক্ষকের প্রতি যথাযথ সম্মান জানানো। বর্তমানে শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধার দৃষ্টিভঙ্গি যেন ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে। যা নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হওয়ার অন্যতম অশনী সংকেত। তাই নিম্নে শিক্ষকের মর্যাদা ও করণীয় তুলে ধরার প্রয়াস পেলাম। শিক্ষকের মর্যাদা: মহান আল্লাহ শিক্ষককে করেছেন মানবজাতির মধ্যে অনন্য। যার কিয়দাংশ নিম্নরূপ— (ক) সৃষ্টিকুল যার জন্যে দোয়া করে: সুনানে তিরমিজির বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিক্ষকের মর্যাদা সম্পর্কে বলেন, ‘কল্যাণকর বিদ্যা দানকারীর জন্য সবাই (প্রাণী ও প্রকৃতি) আল্লাহর কাছে মাগফিরাত কামনা করে। (খ) শিক্ষক সবার সেরা: বাংলা ভাষার অন্যতম কবি কাজী কাদের নেওয়াজ ‘শিক্ষকের মর্যাদা’ নামে একটি মর্মস্পর্শী কবিতা লিখেছেন। কবিতায় শিক্ষকের আদব ও সেবা সম্পর্কে জাতির নিকট খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। কি রাজা, কি বাদশাহ, কি এমপি কারোই তুলনা নেই শিক্ষকের সাথে। শিক্ষক—ই মহান, তিনি সবার সেরা। কবিতার ছত্রে ছত্রে মহান করে তুলেছেন শিক্ষা গুরুকে। ‘কহিলেন আমি ভয় করি নাক— যায় যাবে শির টুটি শিক্ষক আমি শ্রেষ্ঠ সবার— দিল্লির পতি সে তো কোন ছার..।’ কবিতাটি শেষ করলেন এভাবে— ‘আজ হতে চির উন্নত হলো— শিক্ষা গুরুর শির, সত্যিই তুমি মহান উদার বাদশাহ আলমগীর।’ (গ) ছাত্র শিক্ষকের অধীন: এ প্রসঙ্গে মাওলা আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যে ব্যক্তি আমাকে একটি হরফ বা অক্ষর শিক্ষা দিল, আমি আলী তার গোলাম হয়ে গেলাম। তিনি ইচ্ছে করলে আমাকে বিক্রি করে দিতে পারেন। আমাকে গোলাম হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন। ইচ্ছে করলে আযাদ করতেও পারবেন। (ঘ) শিক্ষকদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে পূর্ববর্তী আলেমগণ: বর্ণিত আছে, ইমাম আহমদ রহ. ইসলামী জ্ঞান, তাকওয়া ও খোদাভীতির দিক দিয়ে তার শিক্ষকের তুলনায় অনেক অগ্রগামী ছিলেন, এরপরেও তিনি কখনো তার শিক্ষকের সামনে বসতেন না, বরং বলতেন, আমাদের শিক্ষকের সামনাসামনি বসার অনুমতি দেওয়া হয়নি। ইমাম শাফেয়ী রহ. ইমাম মালিক রহ.—এর অন্যতম শিষ্য ছিলেন। তিনি বলেন, আমি যখন ইমাম মালেক রহ.—এর সামনে কিতাবের পৃষ্ঠা উল্টাতাম, তখন অনেক ভদ্রতা ও বিনয়ের সাথে উল্টাতাম, খেয়াল রাখতাম যেন তিনি শব্দ পেয়ে কোনওভাবে বিরক্ত না হন। ইমাম ফখরুদ্দিন রাযী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন একজন মহান ইমাম। তৎকালীন বাদশাহ তাকে খুব সম্মান করতেন। একবার তিনি বললেন, আল্লাহ তাআলা আমাকে অনেক সম্মান দিয়েছেন। তার একমাত্র কারণ উস্তাদের খেদমত। আমি ৩০ বছর পর্যন্ত আমার উস্তাদ কাযী ইমাম আবু দাউদ দাদুসি রহমাতুল্লাহি আলাইহির খেদমত করেছি। করেছি রান্না বান্নার কাজ। কিন্তু তা থেকে আমি কিছুই খাইনি। শিক্ষকের কর্তব্য: শিক্ষকের অর্জন ও পুরস্কার যেমন বড়, তেমনি তার দায়িত্বও অনেক ভারি। যথা— কথা ও কাজের মিল থাকা : কথা ও কাজের মিল থাকা একজন আদর্শ শিক্ষকের অবশ্য কর্তব্য। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কথা—কাজের মিল না থাকা সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মেরাজের রাতে আমি এমন কিছু মানুষের সামনে দিয়ে অতিক্রম করেছি, আগুনের কাঁচি দিয়ে যাদের ঠোঁট কাটা হচ্ছে। আমি বললাম, এরা কারা? ফেরেশতারা বললেন, দুনিয়ার ওই সব বক্তা (শিক্ষক), যারা মানুষকে নেক কাজের নির্দেশ করত, অথচ নিজেরা এটা ভুলে থাকত।’ একনিষ্ঠতা ও আন্তরিকতা : একনিষ্ঠতার গুণ একজন শিক্ষকের জন্য মণি—মুক্তার মতো মহা মূল্যবান সম্পদ। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের এছাড়া কোনো নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে, নামায কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে। এটাই সঠিক ধর্ম’। আর একনিষ্ঠতা ছাড়া কোনো আমলই আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না। একনিষ্ঠতা না থাকলে মানুষ শিরকে পর্যন্ত লিপ্ত হয়ে যায়। আর শিক্ষা—দীক্ষার জন্য তো এটি অন্যতম নেক কাজ। দায়িত্বের প্রতি যত্নবান হওয়া : ছাত্রদের যোগ্য করে তোলার ক্ষেত্রে যত্নবান হওয়া, প্রতিষ্ঠান থেকে দেওয়া নিয়মাবলি যথাযথ পালন করা একজন শিক্ষকের মূল দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘ যখন তোমাদের কেউ কোনো কাজ করে, সে যেন তা খুব ভালোমতো করে। কারণ আল্লাহ ওদেরকে ভালোবাসেন’। আর এ ভালোমতো দায়িত্ব সম্পাদন করা দায়িত্বের প্রতি সচেতনতা ছাড়া কখনোই সম্ভব হবে না। উত্তম চরিত্র : শিক্ষক হতে হলে অবশ্যই দরকার উন্নত চরিত্রের অধিকারী হওয়া। আর সততা তো শিক্ষকের মুকুট। এটা হারালে মানুষের আস্থা ও সম্মান তার থেকে উঠে যাবে। এজন্য একজন শিক্ষকের স্পষ্টভাষী ও সত্যবাদী হওয়া একান্ত কর্তব্য। তিনি কাউকে ধোঁকা দিবেন না। চক্রান্ত করবেন না। লোক দেখানোর জন্য কিছু করবেন না। সত্য বলবেন। সত্যকে ভালোবাসবেন। ভুল হলে স্বীকার করবেন। খুশি মনে তা শুধরে নিতে সচেষ্ট হবেন। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সঙ্গে থাক।’ কোমল আচরণ : শিক্ষক হবেন কোমল হৃদয়ের অধিকারী। হবেন সহনশীল ও দয়ার্দ্র। কঠোরতা করবেন না। তাই বলে অতিশয় শিথিলতা প্রদর্শনের কথা বলা হচ্ছে না। সর্বাবস্থায় মধ্যপন্থা অবলম্বনই উত্তম। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘হে আল্লাহ, যাকে আমার উম্মতের কোনো কিছুর দায়িত্ব দেওয়া হয়, অতঃপর সে তাদের প্রতি কঠোরতা করে, তাহলে আমিও তাদের প্রতি কঠোরতা করব। আর যাকে আমার উম্মতের কোনো কিছুর দায়িত্ব দেওয়া হয়, আর সে তাদের প্রতি কোমল আচরণ করে, তাহলে আমিও তাদের প্রতি কোমল আচরণ করব।’ নম্রতা ও সহনশীলতা: নম্রতা প্রশংসিত একটি গুণ। একজন শিক্ষকের তা খুব প্রয়োজন। এতে করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মর্যাদা ও সম্মান বাড়ে বৈ কমে না। নূরনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে কেউ নম্রতা অবলম্বন করে, আল্লাহ তার মর্যাদা উন্নীত করে দেন’। সত্য অস্বীকার করা, ইলম নিয়ে আত্মগরিমা করা, সাথী—সঙ্গী ও ছাত্রদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করাও অহংকারের মধ্যে শামিল। ধৈর্য ও ক্রোধ সংবরণ: এ দুটি গুণ একজন শিক্ষককে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে। আর এ দুটি গুণের অভাবে অনেক সময় পেরেশানিতে ভুগতে হয়। ধৈর্য ধারণের নির্দেশ দিয়ে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর ধৈর্যধারণ কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ পুণ্যবানদের প্রতিদান বিনষ্ট করেন না’। আর রাগ সংবরণ করা সম্পর্কে নূরনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘বীর সে নয়, যে কুস্তিতে বিজয় লাভ করে, বীর তো সে, যে নিজেকে রাগের সময় নিয়ন্ত্রণ করতে পারে’। ইনসাফ ও সমতা: সব শিক্ষার্থীর সঙ্গে ইনসাফ ও সমতা রক্ষা করে চলতে হবে। হজরত মুজাহিদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘শিক্ষক যদি বাচ্চাদের সঙ্গে সমতার আচরণ না করে, তাহলে সে জালেম বলে গণ্য হবে’। দুর্বল ছাত্রদের অবহেলা করা, তাদের প্রতি ভ্রম্নক্ষেপ না করা এবং নসিহত করতে কার্পণ্য করা এ সবই জুলুমের মধ্যে পড়ে। কথাবার্তায় সংযম অবলম্বন : শিক্ষকদের জন্য ছাত্রদের সঙ্গে ভালো আচরণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাদের সঙ্গে সুন্দরভাবে কথা বলা। অশ্লীল কথা না বলা। গালি না দেওয়া। তাদের সঙ্গে ঠাট্টা—বিদ্রুপ না করা। কারণ এগুলো করলে ছাত্রদের মন ভেঙে যায়। এর খারাপ পরিণতি সম্পর্কে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘মুসলমানকে গালি দেওয়া ফাসেকি কাজ, আর তাকে হত্যা করা কুফুরী।' আব্রাহাম লিংকন ঐতিহাসিক চিঠি: পৃথিবী খ্যাত আব্রাহাম লিংকন তার নিজ সন্তানকে শিক্ষালয় প্রেরণের সময় শিক্ষককে চিঠি লিখেন, ‘আমার পুত্রকে জ্ঞান অর্জনের জন্য আপনার কাছে পাঠালাম। তাকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবেন এটাই আপনার কাছে আমার প্রত্যাশা। আমার পুত্রকে অবশ্যই শেখাবেন সব মানুষই ন্যায়পরায়ণ নয়, সব মানুষই সত্যনিষ্ঠ নয়। তাকে এও শেখাবেন; প্রত্যেক খারাপের মাঝেও একজন বীর থাকতে পারে, প্রত্যেক স্বার্থপর রাজনীতিবিদের মাঝেও একজন নিঃস্বার্থ নেতা থাকেন। তাকে শেখাবেন, পাঁচটি ডলার কুড়িয়ে পাওয়ার চাইতে একটি উপার্জিত ডলার অধিক মূল্যবান। তাকে শেখাবেন, কীভাবে পরাজয়কে মেনে নিতে হয় এবং কীভাবে বিজয়োল্লাস উপভোগ করতে হয়। হিংসা থেকে দূরে থাকার শিক্ষাও তাকে দেবেন। যদি পারেন নীরব হাসির গোপন সৌন্দর্য তাকে শেখাবেন। সে যেন একথা বুঝতে শেখে, যারা অত্যাচারী তাদেরকে নীরব হাসির গোপন সৌন্দর্য দিয়ে সহজেই কাবু করা যায়। বইয়ের মাঝে কী রহস্য লুকিয়ে আছে, তাও তাকে শেখাবেন। আমার পুত্রকে শেখাবেন, বিদ্যালয়ে নকল করে পাস করার চেয়ে অকৃতকার্য হওয়া অনেক বেশি সম্মানজনক। নিজের ওপর তার যেন পূর্ণ আস্থা থাকে, এমনকি সবাই যদি সেটাকে ভুলও মনে করে। তাকে শেখাবেন, ভালো মানুষের প্রতি ভদ্র আচরণ করতে, কঠোরদের প্রতি কঠোর হতে। আমার পুত্র যেন হুজুগে মাতাল জনতার পথ অনুসরণ না করে এ শিক্ষাও তাকে দেবেন। সে যেন সবার কথা শোনে এবং সত্যটা ছেঁকে যেন শুধু ভালোটাই শুধু গ্রহণ করে এ শিক্ষাও তাকে দেবেন। সে যেন শেখে দুখের মাঝেও কীভাবে হাসতে হয়। আবার কান্নার মাঝে লজ্জা নেই, সে কথাও তাকে বুঝতে শেখাবেন। যারা নির্দয়, নির্মম তাদেরকে সে যেন ঘৃণা করতে শেখে। আর অতিরিক্ত আরাম-আয়েশ থেকে সাবধান থাকে। আমার পুত্রের প্রতি সদয় আচরণ করবেন কিন্তু সোহাগ করবেননা, কেননা আগুনে পুড়েই ইস্পাত খাঁটি হয়। আমার সন্তান যেন বিপদে ধৈর্যহারা না হয়, থাকে যেন তার সাহসী হবার ধৈর্য। তাকে এ শিক্ষাও দেবেন, নিজের প্রতি তার যেন পূর্ণ আস্থা থাকে আর তখনই তার সুমহান আস্থা থাকবে মানব জাতির প্রতি। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আজ কিছু শিক্ষক উত্তম আদর্শ হওয়ার পরিবর্তে সর্বপ্রকার মন্দ ও ফিতনা—ফাসাদের পতাকাবাহীতে পরিণত হচ্ছে। যাবতীয় অপকর্মের ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিতসহ অনিয়ম—অনাচার, বিশৃঙ্খলা ও নৈতিক অধঃপতনের দৃশ্যমান নৈরাজ্য চলছে স্কুল—কলেজ—বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। নিয়ম—শৃঙ্খলার কোনো বালাই নেই। মানবতা ও নৈতিকতা পরিণত হয়েছে পঁচা লাশে। আকাশ—বাতাস ভারি হয়ে উঠছে। শিক্ষক—প্রফেসর, উপাচার্যের কর্মকান্ড, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বজনপ্রীতিসহ রয়েছে নানামাত্রিক অনেক অভিযোগ। শিক্ষক ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে চরিত্রগত অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে বেহায়ার মতো। তাই উন্নত শিক্ষার্থী ও জাতি গঠন করতে হলে একজন শিক্ষককে অবশ্যই আদর্শ ও নৈতিকতার অধিকারী হতে হবে। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন—‘নৈতিকতার বিচারে যে লোক উত্তম মূমিনদের মধ্যে সে—ই পূর্ণ ঈমানের অধিকারী। দেশব্যাপী শিক্ষকদের বৈধ অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষা করা, শিক্ষকদের জীবনের মান উন্নত করার ব্যাপারে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, আদর্শ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক তৈরি এবং শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হওয়া সময়ের অনিবার্য দাবি। পরিশেষে বলা যায় —শিক্ষকের মর্যাদা সবার উপর। একজন আদর্শ শিক্ষকের প্রভাবে আদর্শ শিক্ষার্থী ও উন্নত জাতি গঠন সম্ভব। একটি প্রবাদ আছে : Better than a thousand days of diligent study is one day with a great teacher অর্থাৎ—হাজার বছর নিরলস অধ্যাবসায় হতে একজন ভাল শিক্ষকের কাছে একদিন বসা উত্তম। তাই আসুন আমরা শিক্ষকের মর্যাদা যথাযথ আাদায় করি। লেখক: আরবী প্রভাষক, তাজুশ শরী’আহ দরসে নিযামী মাদরাসা, ষোলশহর,চট্টগ্রাম; খতিব, রাজানগর রাণীরহাট ডিগ্রি কলেজ মসজিদ, রাঙ্গুনিয়া,চট্টগ্রাম।

কোন মন্তব্য নেই

ইলমে দ্বীনের ফজিলত

﴿يَرْفَعِ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنْكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ دَرَجَاتٍ ﴾ (المجادلة: ١١)

Blogger দ্বারা পরিচালিত.