Header Ads

Header ADS

শাবান মাসের ফজিলত ও আমল





ইসলামী আরবি চান্দ্র বর্ষের অষ্টম মাস ‘শাবান’।এ মাসকে কেন শাবান মাস নামে নামকরণ করা হয়েছে: এ মাসকে শাবান বলা হয়েছে এ জন্যই যে, এতে অফুরন্ত কল্যাণের ভান্ডার উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। “লিসানুল আরব” নামক কিতাবে বলা হয়েছে- শাবানকে এ নামে অভিহিত করার কারণ হলো- কেননা আরবরা এ মাসে কল্যাণের সন্ধানে ছড়িয়ে পড়তো। এ মাসে আল্লাহর অপরিমেয় রহমত ও করুণার দ্বার উন্মুক্ত করে দেয়া হয়, যাতে বান্দাগণ স্বীয় গুনাহ ক্ষমা করিয়ে নিতে পারে। বিশেষত: এ মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত ‘শবে বরাত’ হিসেবে পরিচিত। হযরত আবু উমামা বাহিলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বর্ণনা করেন, যখন শাবান মাস উপস্থিত হতো তখন হুযুর পাক সালালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেন, 
“এ মাসে তোমরা তোমাদের অন্তরকে পাক-পবিত্র করে নাও এবং নিয়তকে বিশুদ্ধ করে নাও।” [তবারানি-৫০৪] 
হযরত আয়েশা সিদ্দিক্বা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা বর্ণিত হাদিসে উল্লেখ আছে যে ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাবান মাসের চাঁদের কথা অধিক যত্নের সঙ্গে স্মরণ রাখতেন, যা অন্য মাসের বেলায় হতো না।’
হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে,
قال رسولُ الله صلى الله عليه وسلم: ذَلِكَ شَهْرٌ يَغْفُلُ النَّاسُ عَنْهُ بَيْنَ رَجَبٍ وَرَمَضَانَ 
“মাহে রজব ও রমাদান শরিফের মাঝে এমন এক মাস রয়েছে, যার মর্যাদা সম্পর্কে মানুষের জানা নেই।”
এ মাসের ফযিলতকে মানুষ উপেক্ষা করে, মাসটি রজব ও রমযানের মধ্যবর্তী মাস হওয়ার ফলে এর মাধ্যমে মূলত বুঝানো হচ্ছে, শাবান মাসকে যেহেতু দুটি সম্মানিত মাস বেষ্টন করেছে, সে জন্য মানুষ ওই দুই মাসের আমলে ব্যস্ত হয়ে শাবান মাসকে অবহেলা করে।

মাহে রমযানের প্রস্তুতিকল্পে ইসলামে শাবান মাসকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়। মাহে রমযানে দীর্ঘ ৩০টি রোযাপালনের কঠিন কর্মসাধনা সহজ ও নির্বিঘেœ আদায় করার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে শাবান মাসের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

عن عَائِشَةَ تَقُولُ كَانَ أَحَبَّ الشُّهُورِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَصُومَهُ شَعْبَانُ ثُمَّ يَصِلُهُ بِرَمَضَانَ ” 
হযরত আয়েশা সিদ্দিক্বা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা থেকে বর্ণিত আছে, 
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রিয় মাসের একটি হলো শাবান। এ মাসে নফল রোযা আদায় করেই তিনি মাহে রমযানের রোযা পালন করতেন।’ [আবু দাউদ-২৪৩১]।
এ সম্পর্কে হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বলেছেন,
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، قَالَ : قِيلَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، أَيُّ الصَّوْمِ أَفْضَلُ ؟ قَالَ : ” صَوْمُ شَعْبَانَ تَعْظِيمًا لِرَمَضَانَ ” 
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে আরয করা হলো, “ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার কাছে মাহে রমযানের পর কোন্ মাসের রোযা উত্তম?’ তিনি বললেন, 
‘রমযান মাসের সম্মান প্রদর্শনকল্পে শাবানের রোযা উত্তম।’ 
বুখারী ও মুসলিম শরীফে হযরত আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-
عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصُومُ حَتَّى نَقُولَ لا يُفْطِرُ، وَيُفْطِرُ حَتَّى نَقُولَ لا يَصُومُ، وَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَكْمَلَ صِيَامَ شَهْرٍ قَطُّ إِلا رَمَضَانَ، وَمَا رَأَيْتُهُ فِي شَهْرٍ أَكْثَرَ صِيَامًا مِنْهُ فِي شَعْبَانَ 
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ধারাবাহিকভাবে এতো বেশী নফল রোযা রাখতেন যে, আমরা বলাবলি করতাম হুযূর করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম হয়তো আর রোযা ছাড়বেন না, আবার কখনও এতো বেশী রোযা থেকে বিরত থাকতেন যে, আমরা বলতাম হুযূর করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম হয়তো আর রোযা (নফল) রাখবেন না। তাই আমরা তাঁকে রমযান মাস ছাড়া আর অন্য কোন মাসে পূর্ণ মাস রোযা রাখতে দেখিনি এবং সবচেয়ে যে মাসে সর্বাধিক নফল রোযা রাখতেন তা হলো শাবান মাসে।

শাবান মাসকে এত বেশি গুরুত্ব দেওয়ার বিশেষ কারণ হলো, এ মাসে শবে বরাত নামে বিশেষ একটি রজনী আছে, যে রজনীতে বান্দার সারা বছরের আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয় এবং আগামী এক বছরের জন্য বান্দার হায়াত, মউত, রিয্ক, দৌলত ইত্যাদির নতুন বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। এ মাসে মুসলমানদের আমল-আখলাক যেন সুন্দর হয়, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে দিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন।
কুরআন-সুন্নাহর আলোকে শবে বরাত
পবিত্র শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে ‘শবে বরাত’ বলা হয়। শবে বরাত কথাটি ফারসি থেকে এসেছে। শব মানে রাত, বরাত মানে মুক্তি; শবে বরাত অর্থ মুক্তির রজনী। ‘শবে বরাত’-এর আরবি হলো ‘লাইলাতুল বারাত’। হাদিস শরিফে যাকে ‘লাইলাতুন নিসফ মিন শাবান’ বা শাবান মাসের মধ্য রজনী বলা হয়েছে। তবে বিশ্ব মুসলমানের কাছে এ রাত ‘শবে বরাত’ নামেই বেশি পরিচিত।
শবে বরাত সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, 
‘হা-মিম! শপথ! উজ্জ্বল কিতাবের। নিশ্চয়ই আমি তা নাজিল করেছি এক বরকতময় রাতে। নিশ্চয় আমি ছিলাম সতর্ককারী। (সুরা দুখান, আয়াত: ১-৩)
এ আয়াতের তাফসির সম্পর্কে বরেণ্য মুফাসসির আল্লামা শেখ আহমদ ছাভী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি ) বলেন, 
‘ঐ বরকতময় রজনী হচ্ছে অর্ধ শাবানের রাত। বিশিষ্ট তাবেয়ি হজরত ইকরামা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) এবং অন্যান্য তাফসিরকারকদের মতও এটাই যে, সেই বরকতময় রাত হল মধ্য শাবান তথা শবে বরাত।’ (তাফসিরে ছাভী, খন্ড ৪, পৃষ্ঠা ৪০)
আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি ) এই আয়াতের তাফসিরে বলেন, 
‘আর বরকতময় রাত হল লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান বা শাবানের মধ্য রাত তথা শবে বরাত। কেননা এই রাতে উম্মুল কিতাব কোরআন শরিফ সপ্তম আসমান থেকে দুনিয়ার আসমানে তথা প্রথম আসমানে নাযিল হয়েছে।’ (তাফসিরে জালালাইন, পৃষ্ঠা ৪১০) 
ইমাম আবু জাফর আত-তাবারি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, ‘তাবেয়ি হজরত ইকরামা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, 

মধ্য শাবানের রাত্রিতে বছরের সকল ব্যাপার চূড়ান্ত করা হয়, জীবিত ও মৃতদের তালিকা লেখা হয় এবং হাজিদের তালিকা তৈরি করা হয়। এ তালিকা থেকে পরবর্তীতে একজনও কমবেশি হয় না।’ (তাফসিরে তাবারী, খন্ড ১০, পৃষ্ঠা ২২)
ইমাম কুরতুবী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, 
‘এ রাতের ৪ টি নাম আছে- লাইলাতুম মুবারাকা, লাইলাতুল বারাআত, লাইলাতুছ্ ছাক, লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান।’ (তাফসিরে কুরতুবী, খন্ড ১৬, পৃষ্ঠা ১২৬)
ইমাম বাগাভি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি ) লিখেন, 
'নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ শবে বরাতের রাতে সকল বিষয়ের চূড়ান্ত ফয়সালা করেন এবং শবে ক্বদরের রাতে তা সংশ্লিষ্ট দায়িত্ববান ফেরেশতাদের কাছে ন্যস্ত করেন।’ (তাফসিরে বাগাভি, খন্ড ৭, পৃষ্ঠা ২২৮)
শবে বরাতের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে সহিহ হাদিস শরীফেও অনেক বর্ণনা এসেছে। আম্মাজান হজরত আয়িশা সিদ্দিকা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নামাজে দাঁড়ালেন এবং এত দীর্ঘ সেজদা করলেন যে আমার ধারণা হলো, তিনি ওফাত পেয়েছেন। আমি তাঁর পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম, তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল; তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামাজ শেষ করে আমাকে লক্ষ করে বললেন, 
হে আয়িশা! তোমার কী এ আশঙ্কা হয়েছে? আমি উত্তরে বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)! আপনার দীর্ঘ সেজদা দেখে আমার আশঙ্কা হয়েছিল, না জানি আপনি ওফাত পেয়েছেন? নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি কি জানো এটা কোন রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলই ভালো জানেন। তখন নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এটা হলো অর্ধশাবানের রাত; এ রাতে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের প্রতি মনোযোগ দেন; ক্ষমাপ্রার্থীদের ক্ষমা করেন, অনুগ্রহ প্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন। আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের তাদের অবস্থাতেই ছেড়ে দেন। (শুআবুল ইমান, তৃতীয় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৮২)
হজরত আয়িশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) থেকে আরো বর্ণিত, 
নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এ রাতে মদিনার কবরস্থান ‘জান্নাতুল বাকি’তে এসে মৃতদের জন্য দোয়া ও ইস্তিগফার করতেন। প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁকে বলেছেন, এ রাতে বনি কালবের ভেড়া-বকরির পশমের সংখ্যার পরিমাণের চেয়েও বেশি সংখ্যক গুণাহগারকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। (তিরমিজি শরিফ, হাদিস : ৭৩৯)
 একদিন প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আম্মাজান আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা)কে জিজ্ঞেস করলেন- হে আয়েশা! শাবান মাসের মধ্য রাতের মর্যাদা ও ফজিলত সম্পর্কে তুমি কি জান? তিনি আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) শাবান মাসের মধ্য রাতের মর্যাদা কী? আল্লাহর হাবিব (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উত্তরে বললেন- আগামী এক বছরে কতজন আদম সন্তান ভূমিষ্ট হবে এবং কতজন আদম সন্তান মৃত্যুবরণ করবে তা এ রাতে লিপিবদ্ধ করা হয়। আর এ রাতে তাদের আমল মহান আল্লাহ দরবারে উপস্থাপন করা হয় এবং তাদের রিযিক অবতীর্ণ কিংবা নির্ধারণ করা হয়। (ফাজায়েলুল আওকাত, হাদীস: ২৬)
হযরত আবূ মূসা আশয়ারী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলে করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এরশাদ করেন-
 মধ্য শাবানের রাত্রিতে আল্লাহ পাক রহমত নিয়ে আবির্ভূত হন এবং তার সমস্ত বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। কিন্তু মুশরিক বা শত্রুতাপোষণকারী ব্যক্তিকে ক্ষমা করেন না। (ইবনে মাজাহ, হাদীস নম্বর ১৩৮৯)
হজরত আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
 ১৪ শাবান দিবাগত রাত যখন আসে, তখন তোমরা এ রাতটি ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং দিনের বেলায় রোজা রাখো; কেননা, এদিন সূর্যাস্তের পর আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার আসমানে রহমত নিয়ে অবতরণ করেন এবং আহবান করেন; কোনো ক্ষমাপ্রার্থী আছ কি? আমি ক্ষমা করব; কোনো রিজিকপ্রার্থী আছ কি? আমি রিজিক দেব; আছ কি কোনো বিপদগ্রস্ত? আমি উদ্ধার করব। এভাবে ভোর পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে আহবান করতে থাকেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৩৮৪)
তবে মুশরিক, হিংসা পোষনকারী, সর্বদা ব্যবিচারকারী, পিতামাতার অবাধ্য, মদপানকারী, হারাম মাল ভক্ষণকারী, ইয়াতিমের সম্পদ আত্মসাৎকারী ক্ষমা পাবে না। তাদের তাওবা করতে হবে।

আসুন! আমরা ইবাদতবন্দেগীর মাধ্যমে শবে বরাতকে আমাদের মুক্তির এবং নাজাতের অসিলা বানিয়ে নিই। আগামী বছরের তাকদির যেনো আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য শুভ এবং সুন্দর করে দেন। সকল মুসলামান যেনো ভাই ভাই হয়ে জীবনযাপন করতে পারি, সেই তাওফিক আল্লাহ আমাদের দিন।

কোন মন্তব্য নেই

ইলমে দ্বীনের ফজিলত

﴿يَرْفَعِ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنْكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ دَرَجَاتٍ ﴾ (المجادلة: ١١)

Blogger দ্বারা পরিচালিত.