পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস
পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস । আরবী এই মাসের ১২
তারিখে উম্মতের কান্ডারী, শাফায়েতের কান্ডারী,দোজাহানের বাদশাহ, আখেরী নবী, নূরে মোজাসসাম আকাঁ ও মওলা আহমদ মোস্তফা মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পৃথিবীতে তশরীফ আনেন। যে নবী দুনিয়াতে না আসলে আল্লাহ পাক কিছুই সৃষ্টি করতো না, যার কারণে সবকিছু সৃষ্টি হলো তার আগমন হলো সর্বোচ্চ রহমত, বরকত ও নেয়ামত । আল্লাহর এ নেয়ামত ও আনুগ্রহকে কেন্দ্র
করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ও আনন্দ করার নির্দেশ স্বয়ং রাব্বুল আলামীন নিজে দিয়েছেন ।
আল্লাহপাক এরশাদ করেন-
ﻗُﻞْ ﺑِﻔَﻀْﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَ ﺑِﺮَﺣْﻤَﺘِﻪِ ﻓَﺒِﺬَﺍﻟِﻚ
ﻓَﻠْﻴَﻔْﺮَﺣُﻮْﺍ ﻫُﻮَﺍ ﺧَﻯْﺮٌ ﻣِﻤَّﺎ ﻯَﺠْﻤَﻌُﻮْﻥَ
অর্থাৎ "হে রাসুল আপনি বলুন আল্লাহর দয়া ও রহমতকে কেন্দ্র করে তরা যেন আনন্দ করে এবং এটা হবে তাদের অর্জিত সকল কর্মফলের চেয়েও শ্রেষ্ট।" {সুরা ঈউনূছ,আয়াত ৫৮}
উল্লেখ্য যে, নবীজীর শুভাগমনের চাইতে শ্রেষ্ট নেয়ামত এবং দয়া বিশ্ববাসীর জন্য আর
কি হতে পারে ?
আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে আরো এরশাদ করেন-
ﻭﻣﺎ ﺍﺭﺳﻠﻨﻚ ﺇﻻ ﺭﺣﻤﺔ ﻟﻠﻌﺎﻟﻤﻴﻦ
"হে রাসূল, নিশ্চই আমি আপনাকে জগতসমুহের রহমত করেই প্রেরণ করেছি।" (সূরা আম্বিয়া,
আয়াত ১০৭)
ঈদ এ মিলাদুন্নবী দঃ উদযাপন করা যে শরীয়ত সম্মত তা পবিত্র কোরআনের সূরা ইঊনূছ এর ৫৮নং ও সূরা আম্বিয়ার ০৭ নং আয়াত দ্বারা প্রমাণিত।
আল্লাহ তায়ালা অপর আয়াতে ইরশাদ ফরমানঃ-
ﻗَﺎﻝَ ﻋِﻴْﺴَﻰ ﺍﺑْﻦُ ﻣَﺮْﻳَﻢَ ﺍَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﺍَﻧْﺰِﻝْ
ﻋَﻠَﻴْﻨَﺎ ﻣَﺎﺀِﺩَﺓً ﻣِﻦَ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀِ ﺗَﻜُﻮْﻥُ ﻟَﻨَﺎ ﻋِﻴْﺪًﺍ
ﺍﻟِّﺎَﻭَّﻟِﻨَﺎ ﻭَﺍَﺧِﺮِﻧَﺎ ﻭَ ﺍَﻳَﺔً ﻣِﻨْﻚَ ﻭَﺍﺭْﺯُﻗْﻨَﺎ ﻭَﺍَﻧْﺖَ
ﺧَﻴْﺮُ ﺍﻟﺮَّﺍﺯِﻗِﻴْﻦَ -
অর্থাৎ ঈসা ইবনে মারইয়াম (আঃ) দোয়া করলেন, হে আল্লাহ ! হে আমাদের প্রভু আমাদের
প্রতি আকাশ হতে খাদ্য অবতীর্ন করুন যেন সেটা আমাদের জন্য অর্থাৎ আমাদের মধ্যে যারা প্রথমে ( বর্তমানে আছে ) এবং যারা পরে, সকলের জন্য আনন্দের বিষয় হয় এবং আপনার পক্ষ হতে এক নিদর্শন হয়। আর আপনি আমাদেরকে রিযিক প্রদান করুন বস্তুত আপনিই সর্বোত্তম রিযিক প্রদানকারী।" (সূরা মায়েদা, আয়াতঃ ১১৪)
যদি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে খাদ্য ভর্তি খাঞ্চার মত সামান্য রহমত পেলে তা হযরত ঈসা (আঃ) এর ভাষায় সৃষ্টির আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত আনন্দোৎসবের কারণ হয় তবে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মত মহান নেয়ামতে আগমন দিবস কতই না মর্যাদাবান , গুরুত্ববহ, ও আনন্দের তা সহজেই আনুমেয়।আল্লাহপাক আমাদের নবীকে তো পুরো সৃষ্টিজগতের রহমত হিসেবেই দুনিয়াতে প্রেরণ করেন।
এই আয়াত দ্বারা ও স্পষ্টতই প্রমাণ হল আল্লাহর রহমত পেয়ে খুশি উদযাপন করা সম্পূর্ণ কোরআন সম্মত।
রাসূল দঃ কাছে সোমবারে রোযা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কয়েকটি কারণের মধ্যে নিজের দুনিয়াতে তশরীফ আনার মূহুর্তের কথাও উল্লেখ করেছেন। সহীহ মুসলিম শরীফের ২য় খন্ডে তার স্পষ্ট উল্লেখ আছে যেঃ
●|●মিলাদ পালন করেছেন নবীজি নিজেই●|●
ﻋَﻦْ ﺍَﺑِﻰ ﻗَﺘَﺪَﺓَ ﺍﻻَﻧْﺼﺎَﺭِﻯ ﺭَﺿِﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋَﻨﻪُ
ﺍَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ
ﺱﺀﻝ ﻋَﻦْ ﺻَﻮْﻡِ ﻳَﻮْﻡ ﺍﻻِ ﺛْﻨَﻴْﻦِ ﻗَﻞَ ﺫَﺍﻙَ
ﻳَﻮْﻡٌ ﻭُﻟِﺪْﺕُ ﻓِﻴْﻪِ ﺑُﻌِﺜْﺖُ ﺍَﻭْﺍُﻧْﺰِﻝَ ﻋَﻠَﻰَّ ﻓِﻴْﻪِ
অর্থাৎ হযরত আবু কাতাদা (রা:) হতে বর্ণিত রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলায়হি ওয়াসাল্লামার দরবারে আরজ করা হলো তিনি প্রতি সোমবার রোজা রাখেন কেন? উত্তরে নবীজি ইরশাদ করেন, এই দিনে আমি জন্ম গ্রহন করেছি, এই দিনেই আমি প্রেরিত হয়েছি এবং এই দিনেই আমার উপর পবিত্র কুরআন নাযিল হয় ।
(সহীহ মুসলিম শরীফ ২য় খন্ড, ৮১৯ পৃষ্ঠা, বায়হাকী: আহসানুল কুবরা, ৪র্থ খন্ড ২৮৬ পৃ: মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল ৫ম খন্ড ২৯৭ পৃ: মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক ৪র্থ খন্ড ২৯৬পৃ: হিলিয়াতুল আউলিয়া ৯ম খন্ড ৫২ পৃ:)
উক্ত হাদীসপাক থেকে স্পষ্টতই প্রমাণ পাওয়া গেল রাসূল দঃ নিজেই মিলাদ পালন করেছেন। তাই প্রত্যেকর উচিত ঈদ এ মিলাদুন্নবী দঃ উদযাপন করা।
আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে ঘোষনা দিয়েছেন নবীর ওফাত দিবসও আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত ও শান্তির হয়ে থাকে।
আল্লাহপাক এরশাদ করেনঃ
"তাঁর (ইয়াহিয়া) প্রতি শান্তি, যে দিন সে জন্মগ্রহণ করে এবং যে দিন মৃত্যু বরণ করবে এবং যে দিন জীবিত অবস্থায় পুনুরুত্থিত হবে।"
{সূরা মারইয়াম,আয়াতঃ ১৫।}
পবিত্র কোরআনের উক্ত আয়াত মতে যদি হযরত ইয়াহিয়া আঃ এর ওফাত দিবস আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত বা শান্তির হয়ে থাকে, তাহলে আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দুনিয়া থেকে পর্দা করার দিনটিও নিশ্চয় রহমত ও শান্তির হবে।তাছাড়া শোক তো তিন দিনের বেশি পালন করা যায় না।
অতএব পবিত্র কোরআনের উক্ত আয়াত থেকে স্পষ্টত প্রমাণিত হল যে,ঈদ এ মিলাদুন্নবী দঃ উদযাপন বা পালন করা পবিত্র কোরআন পাকের নির্দেশাবলীর সাথে সামন্জস্য পূর্ণ।
আগামী ১২ ই রবিউল আউয়াল চট্টগ্রামস্থ জামেয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আনন্দ র্র্যালী (খুশি উদযাপন) হবে।যারা ঐ সময়ে চট্টগ্রামে থাকবেন তারা উক্ত জশনে জুলুস এ উপস্থিত থাকার চেষ্টা করবেন।
তারিখে উম্মতের কান্ডারী, শাফায়েতের কান্ডারী,দোজাহানের বাদশাহ, আখেরী নবী, নূরে মোজাসসাম আকাঁ ও মওলা আহমদ মোস্তফা মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পৃথিবীতে তশরীফ আনেন। যে নবী দুনিয়াতে না আসলে আল্লাহ পাক কিছুই সৃষ্টি করতো না, যার কারণে সবকিছু সৃষ্টি হলো তার আগমন হলো সর্বোচ্চ রহমত, বরকত ও নেয়ামত । আল্লাহর এ নেয়ামত ও আনুগ্রহকে কেন্দ্র
করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ও আনন্দ করার নির্দেশ স্বয়ং রাব্বুল আলামীন নিজে দিয়েছেন ।
আল্লাহপাক এরশাদ করেন-
ﻗُﻞْ ﺑِﻔَﻀْﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَ ﺑِﺮَﺣْﻤَﺘِﻪِ ﻓَﺒِﺬَﺍﻟِﻚ
ﻓَﻠْﻴَﻔْﺮَﺣُﻮْﺍ ﻫُﻮَﺍ ﺧَﻯْﺮٌ ﻣِﻤَّﺎ ﻯَﺠْﻤَﻌُﻮْﻥَ
অর্থাৎ "হে রাসুল আপনি বলুন আল্লাহর দয়া ও রহমতকে কেন্দ্র করে তরা যেন আনন্দ করে এবং এটা হবে তাদের অর্জিত সকল কর্মফলের চেয়েও শ্রেষ্ট।" {সুরা ঈউনূছ,আয়াত ৫৮}
উল্লেখ্য যে, নবীজীর শুভাগমনের চাইতে শ্রেষ্ট নেয়ামত এবং দয়া বিশ্ববাসীর জন্য আর
কি হতে পারে ?
আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে আরো এরশাদ করেন-
ﻭﻣﺎ ﺍﺭﺳﻠﻨﻚ ﺇﻻ ﺭﺣﻤﺔ ﻟﻠﻌﺎﻟﻤﻴﻦ
"হে রাসূল, নিশ্চই আমি আপনাকে জগতসমুহের রহমত করেই প্রেরণ করেছি।" (সূরা আম্বিয়া,
আয়াত ১০৭)
ঈদ এ মিলাদুন্নবী দঃ উদযাপন করা যে শরীয়ত সম্মত তা পবিত্র কোরআনের সূরা ইঊনূছ এর ৫৮নং ও সূরা আম্বিয়ার ০৭ নং আয়াত দ্বারা প্রমাণিত।
আল্লাহ তায়ালা অপর আয়াতে ইরশাদ ফরমানঃ-
ﻗَﺎﻝَ ﻋِﻴْﺴَﻰ ﺍﺑْﻦُ ﻣَﺮْﻳَﻢَ ﺍَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﺍَﻧْﺰِﻝْ
ﻋَﻠَﻴْﻨَﺎ ﻣَﺎﺀِﺩَﺓً ﻣِﻦَ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀِ ﺗَﻜُﻮْﻥُ ﻟَﻨَﺎ ﻋِﻴْﺪًﺍ
ﺍﻟِّﺎَﻭَّﻟِﻨَﺎ ﻭَﺍَﺧِﺮِﻧَﺎ ﻭَ ﺍَﻳَﺔً ﻣِﻨْﻚَ ﻭَﺍﺭْﺯُﻗْﻨَﺎ ﻭَﺍَﻧْﺖَ
ﺧَﻴْﺮُ ﺍﻟﺮَّﺍﺯِﻗِﻴْﻦَ -
অর্থাৎ ঈসা ইবনে মারইয়াম (আঃ) দোয়া করলেন, হে আল্লাহ ! হে আমাদের প্রভু আমাদের
প্রতি আকাশ হতে খাদ্য অবতীর্ন করুন যেন সেটা আমাদের জন্য অর্থাৎ আমাদের মধ্যে যারা প্রথমে ( বর্তমানে আছে ) এবং যারা পরে, সকলের জন্য আনন্দের বিষয় হয় এবং আপনার পক্ষ হতে এক নিদর্শন হয়। আর আপনি আমাদেরকে রিযিক প্রদান করুন বস্তুত আপনিই সর্বোত্তম রিযিক প্রদানকারী।" (সূরা মায়েদা, আয়াতঃ ১১৪)
যদি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে খাদ্য ভর্তি খাঞ্চার মত সামান্য রহমত পেলে তা হযরত ঈসা (আঃ) এর ভাষায় সৃষ্টির আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত আনন্দোৎসবের কারণ হয় তবে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মত মহান নেয়ামতে আগমন দিবস কতই না মর্যাদাবান , গুরুত্ববহ, ও আনন্দের তা সহজেই আনুমেয়।আল্লাহপাক আমাদের নবীকে তো পুরো সৃষ্টিজগতের রহমত হিসেবেই দুনিয়াতে প্রেরণ করেন।
এই আয়াত দ্বারা ও স্পষ্টতই প্রমাণ হল আল্লাহর রহমত পেয়ে খুশি উদযাপন করা সম্পূর্ণ কোরআন সম্মত।
রাসূল দঃ কাছে সোমবারে রোযা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কয়েকটি কারণের মধ্যে নিজের দুনিয়াতে তশরীফ আনার মূহুর্তের কথাও উল্লেখ করেছেন। সহীহ মুসলিম শরীফের ২য় খন্ডে তার স্পষ্ট উল্লেখ আছে যেঃ
●|●মিলাদ পালন করেছেন নবীজি নিজেই●|●
ﻋَﻦْ ﺍَﺑِﻰ ﻗَﺘَﺪَﺓَ ﺍﻻَﻧْﺼﺎَﺭِﻯ ﺭَﺿِﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋَﻨﻪُ
ﺍَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ
ﺱﺀﻝ ﻋَﻦْ ﺻَﻮْﻡِ ﻳَﻮْﻡ ﺍﻻِ ﺛْﻨَﻴْﻦِ ﻗَﻞَ ﺫَﺍﻙَ
ﻳَﻮْﻡٌ ﻭُﻟِﺪْﺕُ ﻓِﻴْﻪِ ﺑُﻌِﺜْﺖُ ﺍَﻭْﺍُﻧْﺰِﻝَ ﻋَﻠَﻰَّ ﻓِﻴْﻪِ
অর্থাৎ হযরত আবু কাতাদা (রা:) হতে বর্ণিত রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলায়হি ওয়াসাল্লামার দরবারে আরজ করা হলো তিনি প্রতি সোমবার রোজা রাখেন কেন? উত্তরে নবীজি ইরশাদ করেন, এই দিনে আমি জন্ম গ্রহন করেছি, এই দিনেই আমি প্রেরিত হয়েছি এবং এই দিনেই আমার উপর পবিত্র কুরআন নাযিল হয় ।
(সহীহ মুসলিম শরীফ ২য় খন্ড, ৮১৯ পৃষ্ঠা, বায়হাকী: আহসানুল কুবরা, ৪র্থ খন্ড ২৮৬ পৃ: মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল ৫ম খন্ড ২৯৭ পৃ: মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক ৪র্থ খন্ড ২৯৬পৃ: হিলিয়াতুল আউলিয়া ৯ম খন্ড ৫২ পৃ:)
উক্ত হাদীসপাক থেকে স্পষ্টতই প্রমাণ পাওয়া গেল রাসূল দঃ নিজেই মিলাদ পালন করেছেন। তাই প্রত্যেকর উচিত ঈদ এ মিলাদুন্নবী দঃ উদযাপন করা।
আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে ঘোষনা দিয়েছেন নবীর ওফাত দিবসও আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত ও শান্তির হয়ে থাকে।
আল্লাহপাক এরশাদ করেনঃ
"তাঁর (ইয়াহিয়া) প্রতি শান্তি, যে দিন সে জন্মগ্রহণ করে এবং যে দিন মৃত্যু বরণ করবে এবং যে দিন জীবিত অবস্থায় পুনুরুত্থিত হবে।"
{সূরা মারইয়াম,আয়াতঃ ১৫।}
পবিত্র কোরআনের উক্ত আয়াত মতে যদি হযরত ইয়াহিয়া আঃ এর ওফাত দিবস আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত বা শান্তির হয়ে থাকে, তাহলে আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দুনিয়া থেকে পর্দা করার দিনটিও নিশ্চয় রহমত ও শান্তির হবে।তাছাড়া শোক তো তিন দিনের বেশি পালন করা যায় না।
অতএব পবিত্র কোরআনের উক্ত আয়াত থেকে স্পষ্টত প্রমাণিত হল যে,ঈদ এ মিলাদুন্নবী দঃ উদযাপন বা পালন করা পবিত্র কোরআন পাকের নির্দেশাবলীর সাথে সামন্জস্য পূর্ণ।
আগামী ১২ ই রবিউল আউয়াল চট্টগ্রামস্থ জামেয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আনন্দ র্র্যালী (খুশি উদযাপন) হবে।যারা ঐ সময়ে চট্টগ্রামে থাকবেন তারা উক্ত জশনে জুলুস এ উপস্থিত থাকার চেষ্টা করবেন।
কোন মন্তব্য নেই