অহংকারের ভয়াবহ পরিণতি
মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাসুম
দুনিয়া হচ্ছে আখিরাতের শষ্যক্ষেত্র এবং জীবন হচ্ছে মৃত্যু পর্যন্ত পৌঁছানোর একটি মাধ্যম। আমাদের ভাল মন্দ আমলগুলো আখিরাতের জন্য একটি ভান্ডারে পরিনত হচ্ছে এবং আমাদের প্রত্যেকটি নিশ্বাস আমাদেরকে মৃত্যুর নিকটবর্তী নিয়ে যাচ্ছে। ঐ ব্যক্তিই বুদ্ধিমান, যে নিজের নিশ্বাসকে আল্লাহ্ তায়ালার সন্তুষ্টি ও আনুগত্যে অতিবাহিত করে, আখিরাতে উপকার প্রদানকারী আমল করে এবং ক্ষতিকর আমল থেকে নিজেকে দূরে রাখে। চুরি, মদপান এবং কুদৃষ্টির ন্যায় প্রকাশ্য গুনাহ থেকে বাঁচার পাশাপাশি অভ্যন্তরীন গুনাহ সম্পর্কে জানা এবং তা থেকে বাঁচাও প্রয়োজন। অভ্যন্তরীন গুনাহ সমূহের মধ্যে একটি খুবই বিপদজনক গুনাহ হচ্ছে “অহংকার”। অহংকার এমন এক ধ্বংসাত্মক রোগ, যা অসংখ্য গুনাহকে নিজের সাথে নিয়ে আসে এবং অসংখ্য মঙ্গল থেকে মানুষকে বঞ্চিত করে দেয়। ইমাম গাজ্জালী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন: অহংকার অর্থ হচ্ছে মানুষ ভাল গুণে নিজেকে অন্যের থেকে শ্রেষ্ঠ মনে করা। আর যখনই কারো মনে এই ধারণা জন্মায় তখনই তার নফস ফুলে যায়। তার কথা-বার্তা, চাল-চলনে তা ফুটে উঠে। যেমন-চলার সময় আগে আগে চলা, কেউ সালাম না দিলে রাগ করা ইত্যাদি। (ইমাম গাজ্জালী, মিনহাযুল আবেদীন) অহংকারী ব্যক্তি কোরআনের আয়াত থেকে শিক্ষা ও উপদেশ অর্জন করা থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন: আমি আমার নিদর্শন সমূহ থেকে তাদের ফিরিয়ে দেবো, যারা পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে নিজেদের অহংকার প্রকাশ করতে চায়। ( সূরা আ’রাফ :১৪৬) অপর আয়াতে রয়েছে, আল্লাহ্ এভাবেই মোহর করে দেন, অহংকারী ও অবাধ্য ব্যক্তির সমগ্র অন্তরের উপর। ( সূরা মু’মিন:৩৫) আর অহংকারকারী এমনই দূর্ভাগা যে, অপদস্ত ও অপমানিত হয়ে জাহান্নামে যাবে। ইরশাদ হচ্ছে: নিশ্চয় সেসব লোক, যারা আমার ইবাদত থেকে অহংকারে বিমুখ হয়,তারা অবিলম্বে জাহান্নমে যাবে লাঞ্ছিত হয়ে। (সূরা মু’মিন: ৬০) হাদীসে কুদসীতে এসেছে, অহংকার আমার চাদর, মহত্ব ও বড়ত্ব আমার পায়জামা। যে এতদুভয়ের কোন একটি নিয়ে আমার সাথে টানাটানি করে, আমি তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবো। ( সহিহ মুসলিম; মুকাশিফাতুল কুলব,১/৩৪৩) অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে, যে ব্যক্তির অন্তরে সরিষা পরিমাণ অহংকার থাকবে, সে বেহেস্তে প্রবেশ করতে পারবে না। (মিশকাতুল মাসাবীহ,পৃ: ৪৩৩)
এরূপ সতর্কবাণীর পরও অনেক মূর্খ লোক দম্ভ ও অহংকারের নেশায় এমনভাবে মত্ত থাকে যে, গরীব, ফকীর, মিসকিন, এতিম এমনিভাবে দ্বীনি বা দুনিয়াবী দিক দিয়ে নিজের চেয়ে কম মর্যাদাবানের প্রতি সম্মান করা, তাদের সালাম করা বা তাদের সালামের উত্তর দেয়া, তাদের সাথে আপনি বলে সম্বোধন করা, তাদের পাশে বসা বা তাদেরকে নিজের সাথে বসানো, তাদের ওখানে কোন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা বা তাদেরকে নিজের এখানে কোন অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেয়া, তাদের সাথে ভূল হয়ে যাওয়াতে ক্ষমা চাওয়া, তাদের সাথে বসে খাবার খাওয়া বা নিজের সাথে বসিয়ে খাওয়ানো, তাদের সাথে সম্পর্ক রাখা এবং তাদের সাথে সদ্যবহার করা ইত্যাদি নিজের সম্মানের খেলাফ মনে করে। যদি কোন মুসলমান তাকে মন্দ কাজে লিপ্ত দেখে উপদেশ করে বা ভূলে কোন মুসলমানের মুখ থেকে তার সম্মান বিরোধী কোন কথা বের হয়ে যায় তখন সে তাকে সবার সামনেই কড়া কড়া কথা বলতে কাল ক্ষেপন করে না। যেমন; আমাকে চেনো না আমি কে? তোমার সাহস কিভাবে হলো,আমার সামনে উচ্চস্বরে কথা বলার? নিজের অবস্থা তো দেখ! দু’টাকারও নয় আর আমাকে উপদেশ দিতে আসে ....ইত্যাদি। মনে রাখবেন! সম্পদ ও রাজত্ব, পদ ও মর্যাদা, স্বাস্থ্য ও শক্তি, জাত ও বংশ, প্রভাব ও প্রতিপত্তি ইত্যাদি সবই অস্থায়ী ও ধ্বংসশীল। সুতরাং এই জিনিষের অহংকারে লিপ্ত হয়ে মুসলমানকে নিকৃষ্ট মনে করা ব্যক্তিদের উচিৎ যে, সে যেন দম্ভ ও অহংকারের ক্ষতিসমূহকে নিজের দৃষ্টিতে রাখে এবং বিনয় ও ন¤্রতা অবলম্বন করে আল্লাহ্ তায়ালার সৃষ্টির প্রতি সহানুভূতির প্রেরণা নিজের অন্তরে সৃষ্টি করে, নয়তো যদি অহংকারের কারণে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে দেয়া হয় তবে খোদার কসম! জাহান্নামের আযাব সহ্য করা যাবে না। ইরশাদ হচ্ছে: নিকৃষ্ট সেই ব্যক্তি, যে নিজেকে ভাল মনে করলো এবং অহংকার করলো আর মহান আল্লাহ্ তায়ালাকে ভূলে গেলো। (সুনানে তিরমিযী, ৪/২০৩, হাদীস: ২৪৫৬) অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ্ তায়ালার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে যতটুকু বিনয় প্রদর্শন করে, আল্লাহ্ তায়ালা তার ততটুকু মর্যাদা সমুন্নত করে দেন, এমনকি তাকে “আলা ইল্লিঈন” (সর্বোচ্চ মর্যাদা) দান করেন। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি আল্লাহ্ তায়ালার সমকক্ষতায় যতটুকু অহংকার করে, আল্লাহ্ তায়ালা তাকে ততটুকুই অধঃপতিত করে দেন, এমনকি তাকে “আসফালূস সা’ফিলিন” (সর্বনি¤œ স্তরে) নামিয়ে দেন। ( সহীহ ইবনে হাব্বান, ৭/৪৭৫, হাদীস: ৫৬৪৯) হাদীস শরীফে আরো এসেছে, যে আপন মুসলমান ভাইয়ের সামনে ন¤্রতা অবলম্বন করবে, আল্লাহ্ তায়ালা তাকে উন্নতি দান করবেন এবং যে তার সামনে নিজের বড়ত্ব প্রকাশ করবে, আল্লাহ্ তায়ালা তাকে অপমানিত করবেন। ( আল মু’জামুল আওসাত, ৫/৩৯০, হাদীস: ৭৭১১) অহংকারীদেরকে কিয়ামতের দিন পিপড়ার ন্যায় মানুষের আকৃতিতে উঠানো হবে যে, প্রত্যেক ছোট ছোট বস্তুই তার উপর প্রাধান্য লাভ করবে। অতঃপর তাদেরকে জাহান্নামের “বাওলাস” নামক জেলখানার দিকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, সেখানে আগুন তাদেরকে আবৃত করে নিবে (শুধু তাই নয় বরং) তাদেরকে “তিনাতুল খাবাল” অর্থাৎ জাহান্নামীদের দেহগলিত পঁচা রক্ত ও পূঁজ পান করানো হবে। ( মুসনাদে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল, মুসনাদে আব্দুল্লাহ্ বিন ওমর বিন আ’স, ২/৫৯৬, হাদীস: ৬৬৮৯)
অহংকার শয়তানী চরিত্র। কৃফরী কাজ, মুর্খ ও নির্বোধের স্বভাব এবং খোদার অভিশাপ। বস্তুত অহংকার যেমন মানুষের দ্বীন-ধর্মকে ধ্বংস করে দেয়, তেমনি বুদ্ধি-বিবেক ও মান-সম্মান বিনাশ করে দেয়। যেমন: একদা এক সহায়হীন ভিক্ষুক এক ধনী ব্যক্তির সামনে ভিক্ষার হাত প্রসারিত করলো, কিন্তু ধনী ব্যক্তিটি ভিক্ষা দেয়ার পরিবর্তে উল্টো তাকে মুখের কড়া ভাষায় তীর মারা শুরু করলো এবং তাকে খুবই অপদস্থ করলো। ভিক্ষুকের মন ভেঙ্গে গেলো আর মন থেকে একটি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো: “তোমার রাগ করার কারণ সম্ভবত এটা যে, তোমার ভিক্ষা করার অপমানের কোন অনুভূতি নাই।” এই কথা শুনে ধনী ব্যক্তিটি রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে গেলো এবং ভিক্ষুকটিকে গোলামকে দিয়ে ধাক্কা দিয়ে বাইরে বের করে দিলো। আল্লাহ্ তায়ালার মর্জি এমনই ছিলো যে, সেই অহংকারী ধনী কিছুদিনের মধ্যেই নিঃস্ব হয়ে গেলো এবং খুবই অভাবে পড়ে গেলো। বন্ধু, আত্মীয়-স্বজন এবং গোলাম ও দারোয়ান সবকিছুই শেষ হয়ে গেলো; আর এই ব্যক্তি পথে বসে গেলো। যেই গোলাম ভিক্ষুককে তার মুনিবের আদেশে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছিলো, তাকে এক নতুন ধনী মুনিব কিনে নিলো। এই মুনিব খুবই নম্রতা, সাহায্যকারী এবং দয়াময় ছিলো। গরীব ও ভিক্ষুকদের সাহায্য করার চেয়ে বেশী তার আর কোন বিষয়ে আনন্দ অনুভব হতো না। এই কারণেই তার দরজায় ভিক্ষুকদের ভীড় লেগে থাকতো। এক রাতে কোন এক ভিক্ষুক তার দরজায় এসে হাঁক দিলো, গোলামটি ভিক্ষুককে সাহায্য করার নিয়্যতে দরজা খুলতেই চিৎকার করে উঠলো। কেননা, সামনে বিদ্যমান ভিক্ষুক আর কেউ নয়, তারই পুরোনো অহংকারী মুনিব ছিলো। নিজের পুরোনো মুনিবের এই অবস্থা দেখে গোলাম অশ্রুসিক্ত হয়ে গেলো এবং তাকে সাহায্য করে নিজের বর্তমান মুনিবের নিকট চলে গেলো। মুনিব যখন তার গোলামকে চিন্তিত ও অশ্রুসিক্ত দেখলো তখন জিজ্ঞাসা করলো: তোমাকে কি কেউ কোন কষ্ট দিয়েছে? একথা শুনে গোলাম তার পুরোনো মুনিবের সম্পূর্ণ কাহিনী তাকে বললো, সম্পূর্ণ কাহিনী শুনার পর মুনিব বললো: আমিই সেই ভিক্ষুক যাকে সে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছিলো এবং আজ দেখো যে, সময়ের কায়া কিভাবে পাল্টে গেছে, কুদরত তাকে আমারই দরজায় ভিক্ষা প্রার্থনার জন্য এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। ( বুস্তানে সা’দী, বাবু দোম দর এহসান, ৮০ পৃ:) এই ঘটনা থেকে শিক্ষণীয় বিষয় হলো, যদি আল্লাহ্ তায়ালা ধন-সম্পদ, সৌন্দর্য্য বা যেকোন ভাবে আমাদেরকে অপরের উপর মর্যাদাবান করেন, তবে আমাদের দম্ভ ও অহংকারে লিপ্ত হয়ে অপরকে নিকৃষ্ট মনে করা, তাকে উপহাস করা, তিরস্কার করা এবং অপমান করার পরিবর্তে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে আল্লাহ্ তায়ালার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা উচিৎ, নয়তো মনে রাখবেন! আল্লাহ্ তায়ালার গ্রেফতার খুবই কঠিন।
অহংকার প্রতিকারের উপায়: * অহংকার থেকে বাঁচার জন্য নিজের দোষ ত্রুটির প্রতি দৃষ্টি রাখা অনেক উপকারী।* * অহংকার এবং অন্যান্য পাপাচার থেকে মুক্তির জন্য দোয়ার সহায়তা নিন। কেননা, দোয়া মু’মিনের হাতিয়ার। সুতরাং দোয়া করুন: হে আল্লাহ্! আমি নেককার হতে চাই, অহংকার ও অন্যান্য সকল পাপাচার থেকে বাঁচতে চাই, কিন্তু নফস ও শয়তান আমাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছে, তুমি তাদের বিপরীতে আমাকে সফলতা দান করো, আমাকে নেককার বানিয়ে দাও, বিনয়ের অধিকারী বানিয়ে দাও। * যখন অহংকারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তবে বান্দা যেন এর ক্ষতি এবং শাস্তির প্রতি গভীরভাবে চিন্তা করে, যাতে তার মাঝে এই ধ্বংসাত্মক আমল অর্থাৎ অহংকার থেকে বাঁচার প্রেরণা সৃষ্টি হয়। * বিনয় অবলম্বন করা এবং গরীবদের সাথে বসা অতিশয় উপকারী। * প্রত্যেক মুসলমানকে প্রথমে সালাম করুন, হোক সে ধনী বা গরীব, বড় বা ছোট। * নিজের কাজ নিজে করার চেষ্টা করুন এবং নিজের মালামাল নিজেই বহন করুন। ইরশাদ হচ্ছে: যে ব্যক্তি নিজের মালামাল নিজেই বহন করলো, সে অহংকার থেকে মুক্ত হয়ে গেলো। ( শুয়াবুল ঈমান, ২/২৯২, হাদীস: ৮২০১) * সদকা ও দান করতে থাকাও অন্তরে মুসলমানদের জন্য সহানুভূতি সৃষ্টি করে এবং অহংকার থেকে মুক্ত রাখে। ইরশাদ হচ্ছে: মুসলমানের সদকা বয়স বৃদ্ধির মাধ্যম এবং মন্দ মৃত্যু থেকে বাচিঁয়ে রাখে। আর আল্লাহ্ তায়ালা এর কারণে অহংকার ও দম্ভ এবং দারিদ্রতাকে দূর করে দেয়। ( মু’জামুয যাওয়ায়িদ, ৩/২৮৪, হাদীস: ৪৬০৯) * অপরকে বিনা কারণে নিজের কাছে ডাকার পরিবর্তে নফসের অহংকারকে ভেঙ্গে চুরমার করতে যথাসম্ভব নিজে গিয়েই সাক্ষাৎ করুন। * যখন গরিব ব্যক্তি আপনাকে দাওয়াত দেয় তখন তা গ্রহণ করুন। * সাধারণ পোশাক-পরিচ্ছেদ পরিধান করুন। এক কথায় নফসের চাহিদার বিপরীত করতে হবে। একদিন হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) মাথায় লাকড়ীর বোঝা নিয়ে লোক সম্মুখে বাজারে গমন করেন। লোকেরা জিজ্ঞাসা করলো, আল্লাহ তায়ালা আপনাকে উচ্চতার মর্যাদা দান করেছেন, তা সত্ত্বেও আপনি কেন এত কষ্ট করছেন? উত্তরে তিনি বলেন, নফস হতে অহংকার দূর করার চেষ্টা করছি। ( ইমাম গাজ্জালী, মুকাশিফাতুল কুলুব,পৃ:১২)
ইমাম মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ গাযালী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন: অহংকারী ব্যক্তি যা কিছু নিজের জন্য পছন্দ করে, নিজের মুসলমান ভাইয়ের জন্য তা পছন্দ করতে পারে না। এমন ব্যক্তি বিনয়ী হতে পারে না, যা তাকওয়া ও পরহেযগারীতার মূল, বিদ্ধেষও ছাড়তে পারে না, হিংসা থেকে বাঁচতে পারে না, কারো মঙ্গলকামনা করতে পারে না, অপরের উপদেশ গ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত থাকে, মানুষের গীবতে লিপ্ত হয়ে যায়। মোটকথা অহংকারী ব্যক্তি নিজের দম্ভকে বজায় রাখার জন্য যেকোন মন্দ কাজ করতে বাধ্য এবং যেকোন ভাল কাজ করাতে অক্ষম হয়ে যায়। ( ইমাম গাজ্জালী, ইহইয়াউল উলুম, ৩/৪২৩) তাই তাকওয়া, বিনয়ী, নম্রতা অবলম্বন করে আল্লাহর কাছে অহংকার থেকে মুক্তি কামনার মাধ্যমে অন্তরকে এ কুস্বভাব থেকে মুক্ত রাখা একান্ত প্রয়োজন।
লিখক: আরবী প্রভাষক, রাণীরহাট আল-আমিন হামেদিয়া ফাযিল মাদরাসা।
খতিব, রাজানগর রাণীরহাট ডিগ্রি কলেজ মসজিদ
পত্রিকায় প্রকাশ :
https://dailypurbodesh.com/%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ad%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%b9-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%be/amp/
কোন মন্তব্য নেই