Header Ads

Header ADS

কেন এই অত্যাচার নিপীড়ন

মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাসুম 

বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র মায়ানমার। সার্কভৃক্ত এশিয়ার এই অঞ্চলের উন্নতি ও সমৃদ্ধির দ্বার যখন উন্মোচন হয়, যখন গণতন্ত্রের জোয়ার বইছে, ঠিক সেই মুহুর্তে মুসলিম হত্যার পূর্ণাবৃত্তি ঘটছে। মুসলিম অধ্যুষিত আরাকান রাজ্যে মায়ানমারের মুসলিম বিদ্বেষী সামরিক জান্তা সরকারের সহায়তায় নাসাকা ও বৌদ্ধদের হামলার শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত শতশত রোহিঙ্গা মুসলিম। তাদের তীব্র নির্যাতন থেকে রেহাই পাচ্ছে না নারী ও শিশুরা। চলমান সহিংসতায় হাজার হাজার মুসলমানকে শহীদ করা হয়েছে। তাদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে আরাকানের সবুজ ঘাস, সিক্ত হয়েছে মাটি। নারী-পুরুষের আর্তচিৎকারে বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। রাখাইনদের লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে ঘরবাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা। এসব উদ্বাস্তু খাদ্য ও নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য মরিয়া হয়ে দিগিবিদিক ছুটে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু কোথাও নিরাপদ আশ্রয় মিলছে না রোহিঙ্গা মুসলমানদের। সার্বিক পরিস্থিতি রোহিঙ্গাদের অত্যন্ত প্রতিকুলে বলেই দিশাহারা রোহিঙ্গারা শুধু প্রাণ বাঁচানোর জন্য দলে দলে বাংলাদেশে ঢুকে পড়তে চাইছে; আর তিক্ত অভিজ্ঞতার পটভূমিতে কঠিন বাস্তবতার কারণে বাংলাদেশ সরকার তাদের অনুপ্রবেশ ঠেকিয়ে চলছে। সাম্প্রতিক এক হিসাবে জানা যায়, প্রায় তিন লাখ শরণার্থী রোহিঙ্গা বাস করছে বাংলাদেশে। কিন্তু এরা কেউই বাংলাদেশী নাগরিক নয়, তা আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত। ফলে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তাদের চলে যেতে জোর তাগিদ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু মায়ানমার সীমান্তের কাঁটাতার ডিঙিয়ে তারা নিজ দেশে ফিরতে পারছে না। এ অবস্থায় রোহিঙ্গাদের পরিচয় এসে দাঁড়িয়েছে রাষ্ট্রহীন জাতিতে। তাছাড়া আরাকান অঞ্চলে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও তা রোধ করার জন্য কৌশল প্রণয়ন করেছে মায়ানমার সরকার। তাদের ভোটাধিকার নেই। নেই কোন সাংবিধানিক ও সামাজিক অধিকার। নিজ দেশে পরবাসী তারা। তারা মায়ানমারের অন্য প্রদেশে অনুমতি ছাড়া যেতে পারে না। রাখাইনে মুসলিম পল্লী তুলে দিয়ে সেখানে বুদ্ধ বসতি স্থাপনের মধ্য দিয়ে মুসলিমদের সংখ্যালঘু বানানো হয়েছে। পক্ষান্তরে গত কয়েক দশক ধরে লাখ লাখ চীনা শরণার্থী আস্তানা গেড়েছে দেশটিতে। শুধু বৌদ্ধ হওয়ায় তাদের সাত খুন মাফ করেছে মায়ানমার সরকার। এদিকে মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট, জাতিসংঘ এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানালেও মায়ানমারে গণহত্যা বন্ধে কার্যকর কোন বাস্তব পদক্ষেপ নিচ্ছেনা। এশিয়ার প্রাচিন বিখ্যাত বাণিজ্য নগরী বলে খ্যাত আরাকান এককালে যাদের ছিল স্বাধীন রাষ্ট্র, ক্ষমতা ও প্রভাব প্রতিপত্তি, এখন তারাই সন্ত্রাসী বৌদ্ধদের অমানুষিক নির্যাতনের শিকার। মায়ানমারের মুসলিম জনগোষ্ঠীর ভাগ্য বিড়ম্বনার ইতিহাস যে কাউকে তাড়িত করবে। এই উপমহাদেশ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় সর্বপ্রথম যে কয়েকটি এলাকায় মুসলিম বসতি গড়ে ওঠে, আরাকান তার মধ্যে অন্যতম। রোহিঙ্গারা সেই আরাকানী মুসলমানের বংশধর। আরাকানের চন্দ্র-সূর্য বংশের প্রথম রাজা মহৎ ইঙ্গ চন্দ্র (৭৮৮-৮১০ খ্রিস্টাব্দে) মুসলমানদের আচার-আচরণ ও ইসলামের সৌন্দর্যের প্রতি মুগ্ধ হয়ে সেখানে ইসলাম প্রচারের ব্যাপক সুযোগ দেন এবং সাথে সাথে রাজা মুসলমানদের স্থায়ীভাবে বসবাসেরও অনুমতি দেন। সে সুবাদে বিভিন্ন সময় পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মুসলিম বডুক, নাবিক, ইসলাম প্রচারকগণ আরাকানে এসে এখানকার স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হতেন। এভাবে আরাকানে মুসলমানদের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পায়। ১৪৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত ২২ হাজার বর্গমাইল আয়তনের স্বাধীন মুসলিম দেশ আরাকানে সুদীর্ঘ দুইশ বছরেরও বেশি সময়কাল মুসলিম শাসন স্থায়ী ছিল। এ সময়ে প্রায় প্রত্যেক রাজা নিজেদের বৌদ্ধ নামের সাথে একটি মুসলিম নাম ব্যবহার করেছেন। ফারসী সরকারি ভাষা হিসেবে চালু হয়। গৌড়ের মুসলমানদের অনুকরণে মুদ্রা প্রথার প্রবর্তন হয়। মুদ্রার একপিঠে রাজার মুসলিম নাম ও অভিষেক কাল এবং অপরপিঠে মুসলমানদের কালিমা শরীফ আরবী হরফে লেখা হয়। রাজার সৈন্যবাহিনীতে অফিসার থেকে সৈনিক পর্যন্ত প্রায় সবাইকে মুসলমানদের মধ্য থেকে ভর্তি করানো হতো। মন্ত্রী পরিষদের অধিকাংশই মুসলমান ছিলো। কাজী নিয়োগ করে বিচারকার্য পরিচালিত হতো। ১৬৬০ সালে তৎকালীন মগরাজা মোঘল সম্রাট শাহজাদা শাহ শুজার কন্যাকে স্ত্রী হিসেবে পাওয়ার জন্য প্রস্তাব দিলে শাহ শুজার সঙ্গে তার বিরোধ শুরু হয়। সে ক্ষেত্রে এই রোহিঙ্গা মুসলিমরাই সেদিন মুসলিম রাজকন্যার সম্ভ্রম বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিলেন। যদিও তারা সফল হননি। কিন্তু তাদের সাহস, সহমর্মিতা ও মুসলিম হিসেবে আত্মমর্যাদা ইতিহাসে সোনার হরফে লেখা আছে। অত:পর আরাকান রাজা থান্দথুধম্মা মোঘল সম্রাট সুজাকে সপরিবারে হত্যা করে এ রাজ্য দখল করে। এরপর শুরু হয় মুসলমানের উপর তার নিষ্ঠুর অমানবিক অত্যাচার নিপীড়ন। প্রায় সাড়ে তিনশ বছর মুসলমানদের কাটাতে হয় এই দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে। বর্মী রাজাগণ ঢালাওভাবে মুসলিম নিধন করতে থাকে। ১৮২৮ সালে বিট্রিশ শাসকদের অধিকারে আসে এভূখন্ড। কিন্তু মুসলিম জনগোষ্ঠীর ভাগ্যের কোন পরিবর্তন ঘটেনি। তবে ১৯৩৭ সালে মায়ানমার স্বায়ত্তশাসন লাভের পর বৌদ্ধদের পরিকল্পিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ব্যাপক আকার ধারণ করে এবং তারা প্রায় ৩০ লাখ মুসলিম হত্যা করে। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি মায়ানমার স্বাধীনতা অর্জন করে। শুরু হয় বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথে যাত্রা। সে সময় পার্লামেন্টে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব ছিল। এ জনগোষ্ঠীর কয়েকজন পদস্থ সরকারি দায়িত্বও পালন করেন। কিন্তু মায়ানমার স্বাধীন করার পূর্বে বিট্রিশরা যে ১৩৯ট জাতিগোষ্ঠীর তালিকা প্রস্তুত করে, তার মধ্যে রোহিঙ্গাদের নাম অন্তর্ভূক্ত ছিলনা। ফলে ১৯৬২ সালে জেনারেল নে উইন সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করলে তাদের ভাগ্যাকাশে নেমে আসে দুর্ভোগের নতুন অধ্যায়। এরপর থেকে আরাকান রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের ধর্মীয়, অর্থনৈতিক, সামরিক এবং রাজনৈতিকভাবে বিতাড়নের জন্য এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়। মুসলিম বিদ্বেষী বৌদ্ধ সামরিক জান্তা সরকার আরাকানের মুসলমানদের উপর বহুমুখী নির্যাতন ও অমানবিক আচরণ করতে থাকে। তন্মধ্যে ১৯৭০ সালের পর থেকে সেনাবাহিনীতে রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠী থেকে নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া, সরকারি চাকরি দেয়ার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম অনুসরণ করা, সেখানে যখন তখন যে কাউকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে নির্যাতন, বিনা মজুরিতে শ্রম খাটানো, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনে বিধি নিষেধ আরোপ, বিবাহ বন্ধনে বাধা, যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ, নির্বিচারে শহীদ, গণগ্রেফতার, জায়গা জমি ও ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, রাজনৈতিক নিপীড়ন, অর্থনৈতিক বঞ্চনা ও শোষণ, মুসলিম যুবতী মেয়েদের গনধর্ষনের পর জবাই করে হত্যা করা, পৃথিবীর কতইনা নিকৃষ্ট জাতি এ বুদ্ধরা। নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করার মাধ্যমে কেড়ে নেয়া হয় তাদের নাগরিক অধিকার। ২০১০ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনের মাধ্যমেও বেসামরিক পোশাকের সামরিক সরকার ক্ষমতায় এসেছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জেনারেল থেইন সেইন হচ্ছেন সাবেক সামরিক জান্তা। তিনি ৮ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানকে সেদেশ থেকে বের করে দেয়ার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গাদের বিতাড়ন অথবা জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার পরিচালিত আশ্রয় শিবিরে পাঠানোই রোহিঙ্গা সমস্যার 'একমাত্র সমাধান'। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বসবাস করলেও পিতৃভূমিতেই তাদের বলা হচ্ছে অবৈধ অভিবাসী। রিপোর্টে দেখা যায়, গত ৩ ডিসেম্বর আকিয়াবের একটি মুসলিম শিবিরে হাজির হয়ে বর্মী সৈনিকরা মুসলিমদের একটি ছাপানো ফর্মে সই করতে বলে। ফর্মে নাগরিকত্বের জায়গায় বাংলাদেশী লেখা দেখে শিবিরের লোকজন ফর্মে সই করতে অস্বীকার করলে সৈন্যরা এরপর চার মহিলাসহ আট ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যায়। হত্যা-ধর্ষণ হয়ে পড়ে নিয়মিত ঘটনা। সম্পত্তি জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়। তাদের শিক্ষা-স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ নেই। বিয়ে করার অনুমতি নেই। সন্তান হলে নিবন্ধন নেই। জাতিগত পরিচয় প্রকাশ করতে দেওয়া হয় না। সংখ্যা যাতে না বাড়ে সে জন্য আরোপিত হয় একের পর এক বিধিনিষেধ। একটি কুকুর না খেয়ে মারা গেলে যে সভ্য দুনিয়ায় চোখের পানির স্রোত বয়ে যায়, বন্য প্রাণী বাঁচাতে যেখানে কোটি কোটি ডলারের ফান্ড অনায়াসে সংগৃহীত হয়, মায়ানমারে মাসের পর মাস নির্বিচারে নিরপরাধ নারী-শিশু-বৃদ্ধকে হত্যা করার পরও সেখানে কোনো সাড়া পড়ে না। এ নিয়ে জাতিসংঘের কোনো উচ্চবাক্য নেই। টকশো কিংবা কোনো বিশেষ বৈঠকও নেই। আমাদের দেশে এক শ্রেনীর প্রগতিশীল এবং তথাকথিত মানবতাবাদী কর্মী রয়েছেন যারা সর্বদাই মানবাধিকারের ব্যাপারে সোচ্চার এবং জোরালো ভূমিকা রেখে চলেছেন অবিরাম। এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। বাংলাদেশের কোথাও যদি কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় তখন কালবিলম্ব না করেই তারা সেখানে ছুটে যান। যদি সংবাদ পান যে, অমুক এলাকায় একজন হিন্দু মেয়ে ধর্ষিতা হয়েছে বা খাগড়াছড়ির দুর্গম মরুভূমির বুকে কোনো উপজাতি মেয়ের ইজ্জত লুট হয়েছে, তখন তারা অতি দ্রুত সেখানে ছুটে যাবেন। তখন হিন্দু মেয়ে কিংবা উপজাতি মেয়ের পক্ষে কথা বলা মিডিয়ার টকশোতে চায়ের কাপে ঝড় তোলা হয় তাদের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকায় পাহাড়ী কর্তৃক যখন হাজার হাজার বাঙালিকে (মুসলমানকে) উচ্ছেদ করা হয়, তখন তারা চুপ মেরে বসে থাকেন। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের গুজরাটে লক্ষ লক্ষ মুসলমানকে যখন পুড়িয়ে মারা হয়, তখন তারা এটাকে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ বলে উড়িয়ে দেন। যখন "অহিংসাই পরম ধর্ম, জীব হত্যা মহাপাপ" অমর বাণীর পতাকাবাহী বৌদ্ধরা যখন রোহিঙ্গা মুসলমানদের অত্যাচারের স্ট্রীম রোলার চালাচ্ছে, বাড়ি-ঘরে গিয়ে লুটপাট চালাচ্ছে এবং মাসের পর মাস নির্বিচারে নিরপরাধ নারী-শিশু-বৃদ্ধকে গণহত্যা করছে, তখন তারা নাকে তেল দিয়ে দিবা-নিদ্রায় মগ্ন থাকলেন। সত্যি কি তারা মানবতার পক্ষে কাজ করেন নাকি কোনো বিদেশী গোষ্ঠীর দালালী করেন, তা প্রশবিদ্ধ। সারাবিশ্বে ৫৭ টি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ থাকা সত্ত্বেও মুসলিমদের গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে কোনো সম্মেলন হয় না। বিশ্বের সকল ক্ষমতাধর নায়ক আর মহানায়কেরা আজ চোখে কালো কাপড় বেধেঁ, নাস্তিক মুরতাদ আর কাফেরের বন্ধুত্বে পরিনত হয়েছে। আর বিশ্বের শক্তিধর মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানরা তাদের ক্ষমতার মসনদ টিকিঁয়ে রাখার স্বার্থে কাফেরদের পা চাটা গোলামে পরিনত হয়েছে। নির্যাতিত মুসলিম নর-নারী আর নিস্পাপ শিশুর আর্তচিৎকার আর আহাজারিতে পৃথিবীর আকাশ বাতাস প্রকম্পিত। অথচ তাদের এই করুন আহাজারী আর আর্তনাত বিশ্বের মুসলমান নেতাদের কান পর্যন্ত পৌছায় না। আজ কি সালাহউদ্দিন আইয়ুবী, বখতিয়ার খিলজী, শাহ জালাল, কিংবা তারিক বিন যিয়াদের মত কেউ নেই, যে আরাকানের মুসলমানদের রক্ষায় জীবন উৎসর্গ করবে? আসুন ! যুগ যুগ ধরে যারা আরাকান তথা রাখাইনের অধিবাসী এই রোহিঙ্গাদের এথনিক ক্লিনজিং থেকে মুক্তি দিতে দু'টি কাজ সম্পাদনে বিশ্বজুড়ে আওয়াজ তুলি- ক. রাখাইনেই রোহিঙ্গাদের নিরাপদ অধিবাস নিশ্চিত করতে হবে। খ. রোহিঙ্গা এথনিক ক্লিনজিংয়ে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ওহে বিশ্ব মুসলিম! তোমরা কি শুনছো না হাজার হাজার নারী শিশু, অনাথ ও অত্যাচারিতদের আর্তনাদ। তবুও কি নীরব থাকবে? শুন ! তোমাদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ তা'আলা কি বলেছেন- "আর তোমাদের কি হল যে, তেমারা আল্লাহর পথে লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের জন্য? যারা এ প্রার্থনা করছে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে এই বস্তী থেকে বের কর; যার অধিবাসীরা অত্যাচারী! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও। (সুরা নিসা :৭৫) কিন্তু তাদের সে ফরিয়াদ আমাদের মত ঘুমন্ত মানুষের কানে পৌছে না!!! কিয়ামতের দিন যখন আল্লাহ আমাদেরকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করবে আমরা কি উত্তর দিব!!!

কোন মন্তব্য নেই

ওসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর মর্যাদা

জন্ম পরিচিতি: হজরত ওসমান গণী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ছিলেন তৃতীয় খলীফা, হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার জামাতা, পয়ত্রিশ মতান্তরে ছত্রি...

Blogger দ্বারা পরিচালিত.